পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঞ্জাব । 8 (ł একজন সুশিক্ষিত পঞ্জাবী একটী সাধারণ সভায় বক্তৃতার কালে বলিয়াছিলেন “. . . when the country was involved in utter darkness, Raja Ram Mohun Roy brought light to the country.-' এই আলোক পঞ্চনদ প্ৰদেশকে এতদূর উদ্ভাসিত করিল যে ব্ৰাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠার পর হইতে পঞ্জাবে পুনরায় জীবন্ত ভাব লক্ষিত হইল। ইতিপূর্বে যাহারা কেবল আসুরিক শক্তি দ্বারা জগদ্বিখ্যাত হইয়াছিল, ২য় শিখ যুদ্ধের পর হইতে তাহারা ক্রমে নিম্নগামী হইতেছিল, তাহদের জাতীয় জীবনে মরিচ ধরিতেছিল। বাঙ্গালীর সংস্রবে। তাহদের সেই জড়তা বিদূরিত হইল। যে পঞ্জাবিগণ শতদ্রুপার হইলে খৃষ্টানগণকে দ্বিখণ্ডিত করিত, তথাকার অনেক যুবক বিলাতে গিয়া উচ্চশিক্ষা প্ৰাপ্ত হইয়া আসিতেছে, রাজভাষা ও মাতৃভাষার উন্নতিকল্পে তথাকার শিক্ষিত ব্যক্তিগণ উত্থিত হইয়াছেন। তথায় স্ত্রীশিক্ষা বিস্তার লাভ করিয়াছে। তথায় ব্ৰাহ্মসমাজের আদর্শে আৰ্যসমাজ, আঞ্জুমান ইসলামিয়া, দেশীয় পাঠশালা, স্কুল ও কলেজ স্থাপিত হইতেছে, এবং চতুদিকেই উন্নতির চিহ্ন লক্ষিত হইতেছে । এই সমস্তই বাঙ্গালীর পঞ্জাব প্রবাসের ফল । ডাক্তার আর সি বসুর কন্যা মিস বসু বালিকা বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষয়িত্রী হইয়া স্ত্রীশিক্ষার প্রসার বুদ্ধি করেন। স্বৰ্গীয় নবীন বাবুর কন্যা “অন্তঃপুত্র” সম্পাদিক। পঞ্জাবে “সুগৃহিণী” নামী হিন্দী মাসিকপত্রিকা সম্পাদন করিতে খাকেন। অতঃপর ভূতপূৰ্ব্ব সবইঞ্জিনিয়র লাল বেণীপ্রসাদের কন্যা ডাক্তার প্ৰেমদেবী মেডিকেল কলেজের পরীক্ষায় উত্তীণ হইয়া স্ত্রীচিকিৎসা আরম্ভ করেন। রায় বাহাদুর কাহাইয়া লাল, এম, ডি, সি, ই, মহােদয়ের পুত্রবধু এবং এক কন্যা শ্ৰীমতী হরদেবী বিলাত গমন করেন। হরদেবী “ভিক্টোরিয়া জুবিলী”, “বিলাত যাত্রী” প্রভৃতি পুস্তক রচনা করেন এবং “ভারতভগ্নী’র সম্পাদিক হন । এই সময়ে পঞ্জাবে বিধবা বিবাহ-প্ৰথাও প্ৰচলিত হয় । এই ব্ৰাহ্ম প্রভাব বিস্তারের পর হইতে দিল্লীকলেজ লাহােরে উঠিয়া যায় ও পঞ্জাববিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাসভা সংস্থাপিত হয়। ডাক্তার লাইটনার ও গভর্ণমেণ্ট কলেজের সহকারিতায় ১৮৬৫ সালে “আঞ্জুমান-ই-পঞ্জাব” সাহিত্যসভা স্থাপিত হইলে, নবীন বাবু তাহার সম্পাদক হন। নবীন বাবু এই সকল লোকহিতকর অনুষ্ঠানে বিশেষ উদ্যোগী ছিলেন। নবীনবাবু হিন্দীসাহিত্য