পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8NR বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । পাইয়া এবং অনন্যসাধারণ অধ্যবসায় দর্শন করিয়া চমৎকৃত হইয়াছিলেন। আইনসংক্রান্ত জটিল এবং দুৰ্ব্বোধ্য বিষয় সকল তিনি যুক্তিকৌশলে এবং অসাধারণ তৰ্কশক্তি প্রভাবে নিতান্ত সহজসাধ্য সরল ও স্পষ্ট করিয়া দেন। পঞ্জাবের প্রধান প্ৰধান ব্যক্তিগণ আইনসংক্রান্ত বিষয়ে তঁহার পরামর্শ গ্ৰহণ করিয়া থাকেন। তিনি এপ্রিদেশের অনেকগুলি দেশীয় রাজ্যের বিচারবিভাগে শৃঙ্খলা-সংস্থাপনে বিশেষ সহায়তা করিয়াছেন। প্রতুল বাবু বহুকাল হইতে কাশ্মীররাজ্যের সহিত আইনউপদেষ্টারূপে সংশ্লিষ্ট আছেন। ১৮৮৬ অব্দে তিনি পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো হন এবং পরে উহার ভাইস চ্যান্সেলার নিযুক্ত হন। ১৮৯৪ অব্দে উক্ত প্রদেশের চীফ কোর্টের বিচারপতির পদে অধিষ্ঠিত হন। পরলোকগত মাননীয় শ্ৰীযুক্ত রামনারায়ণ ব্যতীত ভারতের সীমান্ত প্রদেশে আর কোন ভারতবাসী এরূপ উচ্চ পদ প্ৰাপ্ত হয়েন নাই। পঞ্জাবের প্রধান প্রধান করদরাজ্যগুলিকে প্রায়ই প্ৰতুল বাবুর সাহায্য গ্ৰহণ করিতে হয়। বিচারকার্ঘ্যে ইনি এরূপ দক্ষতা লাভ করিয়াছেন যে চীফ কোর্টে কোন নূতন বিচারপতি আসিলেই তাহাকে প্রতুল বাবুর সহিত কিছুদিন শিক্ষানবিসী করিবার জন্য বসিতে দেওয়া হয়। তিনি যে কেবল এ প্রদেশের সর্দারগণ এবং প্রধান প্ৰধান ব্যক্তিবর্গের বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাভাজন হইয়াছেন তাহা নয়, কিন্তু বহুকাল হইতেই এই সামরিক জাতির ছোট বড় নির্বিশেষে সকল অবস্থার এবং সকল সমাজের লোকের নিকট সমভাবে আদৃত ও সন্মানিত হইয়া আসিতেছেন। দেশের যাহা মঙ্গলকর এরূপ অনুষ্ঠানে যোগ দান করিতে তিনি ভীত বা সংকুচিত নহেন। কি পণ্ডিতগণের সাহিত্যসভা, কি যুবকগণের তর্কসমিতি, বৃহৎ অথবা সামান্য এরূপ যে কোন সভা সমিতির অধিবেশনে তিনি সভাপতির আসন গ্ৰহণ করিয়া থাকেন। একবার লাহোর কালীবাড়ী ও সাহিত্যসভা শোচনীয় দশা। প্ৰাপ্ত হইলে তিনি স্বয়ং কালীবাড়ী গিয়া সভার কতিপয় অধিবেশনে নেতৃত্ব গ্ৰহণ করত সকলকে উৎসাহিত করিয়াছিলেন। জাতীর মহাসভার সূত্রপাতকালেই তাহাতে তিনি যোগদান করেন। তঁহার বিদ্যানুরাগ এখনও এরূপ প্ৰবল যে বিচারপতির গুরুতর কৰ্ত্তব্য সুসম্পন্ন করিয়া ও প্রগাঢ় অনুরাগের সহিত অধ্যয়ন করিয়া থাকেন। প্রতুল বাবু প্রাচীন ভারতের ধৰ্ম্মতত্ত্ব এবং ভৈষজ্যতত্ত্ব বিষয়ে বিশেষ অনুরাগ প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন। দশ বার বৎসর