পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

808 বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । তাহাতে র্তাহার কনিষ্ঠপুত্র এবং রাণার দৌহিত্র মাধবসিংহেরই রাজ্য পাইবার কথা। ইহার পরিণামে রাজ্যে অন্তবিপ্লব উপস্থিত হয়। বিদ্যাধর ইহার অনতিকাল পূর্ব হইতে বাৰ্দ্ধক্যবশতঃ ঈশ্বরীসিংহের মন্ত্রীত্ব হইতে অবসর গ্ৰহণ করেন এবং তঁহার সহকারী হরগোবিন্দ নাটানী মন্ত্রী হন। হরগোবিন্দ ভিতরে ভিতরে গুপ্তবন্ধু মাধবসিংহের পক্ষে ছিলেন এবং ঈশ্বরীসিংহের সর্বনাশ সাধনে যত্নপর ছিলেন, বাহিরে তাহার কিছুই প্ৰকাশ পায় নাই। উদয়পুরের রাণা মলহর রাও হোলকারকে সহায় করিয়া, যখন জয়পুর আক্রমণ করেন তখন জয়পুরের প্রধান সেনাপতি কেশবদাস র্তাহাদের গতিরোধ করিতে অগ্রসর হন । যখন কেশবদাস ঘোরতর যুদ্ধে ব্যাপৃত এমন সময় বিশ্বাসঘাতক হরগোবিন্দের কৌশলে রাজা তঁহার প্রতি সন্দেহযুক্ত হন এবং তঁহাকে যুদ্ধে বিরত করিয়া স্বহস্তে বিষের পাত্ৰ দিয়া তাহ পান করিতে বলেন। কেশবদাস সমস্তই বুঝিতে পারিলেন এবং বিষপান করিবার কালে বলিলেম “যাহার ষড়যন্ত্রে আমায় অবিশ্বাস করিয়া বিনষ্ট করিলেন তাহারই জন্য আপনারও এইরূপ পরিণাম হইবে।” শত্রুসৈন্য যখন সহরের দ্বারদেশে আসিয়া উপস্থিত, ঈশ্বরীসিংহ হরগোবিন্দকে বলেন—“তুমি যে বলিয়াছিলে ফৌজ আমার পকেটের মধ্যে আছে, কৈ সে ফৌজ, আর কবে বাহির করিবে ?” হরগোবিন্দ হাসিয়া বলিল “মহারাজ ! আমার পকেট ফাটিয়া গিয়াছে।” হরগোবিন্দই যে বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছে রাজা তাহা এখন বুবিয়া আসন্ন অপমান ও পরাজয়ের ভয়ে স্বয়ং বিষপানে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিলেন। সহসা তঁহার মৃত্যুতে রাণীগণ মহাশোকাকুল ও কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইলেন এবং উপায়ান্তর না দেখিয়া চিরবিশ্বস্ত বুদ্ধমন্ত্রী বিদ্যাধরকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। তখন মুহূৰ্ত্ত বিলম্বেরও অবসর ছিল না, সুতরাং শিবিকার অপেক্ষা না করিয়া তাহাকে বুড়ি করিয়া রাজান্তঃপুরে আনা হইল। বিদ্যাধর সমস্ত অবগত হইয়া রাণীদিগকে রাজার মৃত্যু অন্ততঃ একদিনও গোপন রাখিয়া ক্ৰন্দনাদি সম্বরণ করিতে বলিলেন এবং তৎক্ষণাৎ তাহার পরম মিত্র ঝালাইএর সর্দার ঠাকুর কুশলসিংহকে ডাকাইয়া পরামর্শ করিলেন। অতঃপর হরগোবিন্দকে ডাকাইয়া বলিলেন “হরগোবিন্দ তুমি যৌবনমত্ত রাজাকে বিনাশ করিয়া বেশ কাজ DBDBDSDD gBB DDDS BBDBuD DDD BB DDD BDB BBB আয়োজন কর।” এই কথা শুনিয়া হরগোবিন্দ সময়োচিত আয়োজনে প্ৰবৃত্ত