পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86や বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । চক্ৰবৰ্ত্তী হইতে ধীরে ধীরে নামগুলি কিরূপ মাড়বারী আকার ধারণ করিয়াছে। নামের ন্যায় পোষাকপরিচ্ছদ আকৃতি প্ৰকৃতিতেও পরিবর্তন বড় অল্প হয় নাই । পরে সে সকল আলোচিত হইবে। এই চক্ৰবৰ্ত্তী গোষ্ঠী জয়পুরে অট্টালিকা দেবালয় ভূসম্পত্তি প্রভৃতিতেও প্রভৃতি ঐশ্বৰ্য্যশালী হইয়াছিলেন। জয়পুরের বিশ্বেশ্বর কী চৌকুড়ী নামক মহল্লায় এবং পুরাতন অম্বরে বিদ্যাধরের কয়েকখানি বৃহৎ অট্টালিকা ঘাটপর্বতসানুতে র্তাহার সুবৃহৎ উদ্যান, সহন-কোঠারা ও সাচরীর জমীদারী, বিদ্যাধরের পুত্ৰগণকে প্রদত্ত বিজাপুর গ্রাম প্রভৃতি সম্পত্তি র্তাহাদেরই ছিল। বর্তমান জয়পুরে “বিদ্যাধরজীকী গালি” নামে যে পথ বিদ্যমান আছে, উহা বাঙ্গালী বিদ্যাধরের নাম এখনও জাগরুক রাখিয়াছে। ঐ পথের পশ্চিমদিকে বিদ্যাধরের আবাসবাটি ছিল। অম্বর সহরে বিদ্যাধরের কন্য। মায়াদেবীর প্রতিষ্ঠিত আমের মহাদেব ও মন্দির, জয়পুরে তঁহারই প্ৰতিষ্ঠিত তারকেশ্বর মহাদেব ও “বকানকে কুয়েক মহাদেব” নামক শিব ও শিবমন্দির আজিও বিদ্যমান আছে। হরগোবিন্দের ঈর্ষাবশে বিদ্যাধরের উপর রাজরোষ পতিত হইলে তিনি স্বীয় সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হন এবং তঁহার পুত্র মুরলীধর কর্তৃক নিৰ্ম্মিত একখানি অৰ্দ্ধসমাপ্ত বাড়ীতে সপরিবারে বাস করিতে বাধ্য হন । r প্ৰকৃতপক্ষে বিদ্যাধরই অম্বররাজ্যে বাঙ্গালীর নাম গৌরবান্বিত করেন এবং রাজপুতনায় বাঙ্গালী উপনিবেশ সুদৃঢ়ভিত্তিতে স্থাপিত করেন। বিদ্যাধরের বংশজ সন্তানগণ ব্যতীত তাহার কোন কোন আত্মীয় তাহারই সময় জয়পুরে আগমন করেন। তন্মধ্যে তন্ত্রসিদ্ধ পণ্ডিত হরিহর চক্ৰবৰ্ত্তী অন্যতম। পূর্বে উক্ত হইয়াছে, বিদ্যাধর বঙ্গদেশ হইতে উপযুক্ত পাত্র আনাইয়া স্বীয় কন্যার বিবাহ দিয়াছিলেন। বিদ্যাধর ১৮০৮ সংবতে মাধবসিংহের রাজত্বকালে পরলোক গমন করেন । কমলাকান্ত ভট্টাচাৰ্য্য হইতে বিদ্যাধরের পুত্ৰগণ পৰ্যন্ত শিলাদেবীর ব্ৰাহ্মণগণের মধ্যে মাতৃভাষার চর্চা ছিল। মেঘনাথ বাবু লিখিয়াছেন—“কোন কোন বাটীতে ৩০০ বৎসরের পুরাতন হস্তলিপিতে বঙ্গীয় অক্ষরের ন্যায়শাস্ত্রের পুথির পাতা দেখিতে পাওয়া যায়। রত্নগর্ভের সময় হইতে বহুকাল পৰ্য্যন্ত এই বঙ্গীয় ব্ৰাহ্মণগণ বাঙ্গালা অক্ষরেই লেখাপড়া করিতেন। পরে কালকশে ন্যায়শাস্ত্রের চর্চা ছাড়িয়া দেন, আশাস্ত্ৰ, ব্যাকরণ ও পূজাপদ্ধতির পুথিগুলি হিন্দী অক্ষরেই লিখিতে আরম্ভ করেন। সাজসজ্জা সম্পূর্ণই হিন্দুস্থানী হইয়া যায়। কিন্তু পূজাপদ্ধতি আজিও :