পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫৮৪

8. বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । মন্দিরের গোস্বামী হইয়াছেন এবং কনিষ্ঠ শিশুপুত্ৰ ( বয়স ২ বৎসর মাত্র ) জয়পুয়ের মদনমোহন গোস্বামীপদ প্ৰাপ্ত হইয়াছেন। 焊 कि अग्रशूद्ध कि cकएबोली भगनत्भांश्नद्ध cशांबाभी बांशौ श्७वांछे फ्राई। এই প্ৰথা মূলবিগ্রহপ্রতিষ্ঠাতা বৃন্দাবনের সনাতনগোস্বামী হইতে চলিয়া আসিতেছে। কথিত আছে মুলতানবাসী রামদাস নামক জনৈক বণিক যমুনার উপর দিয়া আগ্ৰা যাইতেছিলেন। এমন সময় কালীদহের ঘাটে বালুচরে তাহার পণ্যভরা নৌকা আটকাইয়া গেল। রামদাস তিনদিন বহু চেষ্টা করিয়াও নৌকা উদ্ধার করিতে না পারিয়া তীরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং তথায় সৌম্যমূৰ্ত্তি সনাতন গোস্বামীকে দেখিতে পাইয়া তাহার শরণাগত হইলেন। গোস্বামী বণিককে মদনমোহনকে স্তবে তুষ্ট করিতে উপদেশ দিলেন। মদনমোহনের কৃপায় রামদাসের নৌকা উদ্ধারলাভ করিল। রামদাস পণ্য বিক্রয় করিয়া যথাসময়ে বিক্রয়লব্ধ সমস্ত অর্থ গোস্বামীর করে সমর্পণ করিলেন। সেই অর্থে মদনমােহনের মন্দির নিৰ্ম্মিত হইল। তখন হইতে মদনমােহনের পূজারী বাঙ্গালী গােস্বামীদিগের নাম মুলতান পৰ্যন্ত বিস্তৃত হয় এবং সনাতন গোস্বামীর শিষ্যানুশিষ্যবৰ্গ পঞ্জাব প্রদেশে প্রতিষ্ঠালাভ করেন। যাহা হউক, জয়পুরের গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণকে গোবিন্দজীর একমাত্র সেবাধিকারী দেখিয়া শঙ্করসন্ন্যাসী সম্প্রদায় ঈর্ষান্বিত হন এবং জয়পুরাধিপতিকে বুঝান যে শঙ্করের শারীরিক ভাষ্য ব্যতীত রামানুজ, মাধবাচাৰ্য্য, বিষ্ণুস্বামী ও নিম্বাদিত্য এই সম্প্রদায়চতুষ্টয়ের চারিখানি বেদান্তভাষ্য আছে, কিন্তু চৈতন্যসম্প্রদায়ের তাহা নাই। সুতরাং চৈতন্যদেবের মত অসম্প্রদায়ী । অসম্প্রদায় বৈষ্ণবগণ গোবিন্দজীর সেবাধিকারী হইতে পারেন না । কথিত আছে রাজা সন্ন্যাসীদিগের উক্তির সত্যাসত্যতা নির্ণয়াৰ্থ এক মহাসভার অনুষ্ঠান করেন এবং তাঁহাতে নানাস্থানের সাধু ও পণ্ডিতগণ নিমন্ত্রিত হন। পশ্চিমের উদাসীন পণ্ডিতমণ্ডলীর সহিত বৃন্দাবনের বাঙ্গালী বৈষ্ণবগণও সেই সভায় উপস্থিত হন। গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণের মধ্যে বৈষ্ণবদর্শন ও ভক্তিশাস্ত্ৰে অদ্বিতীয় পণ্ডিত বলদেব বিদ্যাভূষণও বৃন্দাবন হইতে গমন করেন। বিচারে প্ৰতিপক্ষ বিদ্যাভূষণের নিকট সৰ্ব্বতোভাবে পরান্ত হইলেন। তাহারা তখন কৌশলে বাঙ্গালী পণ্ডিতকে পরাজয় স্বীকার করাইবার জন্য বৈষ্ণবসম্প্রদায়ের ভাষ্য দেখিতে চাহিলেন। বলদেৰ বিদ্যাভূষণ তাহাতে সন্মত হইলে সভা ভঙ্গ