পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫৯৬

8ԳՀ বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । হয় এবং সংসারবাবু ২২ বৎসর এই কাৰ্য্যে নিয়োজিত থাকেন। এই সুদীর্ঘকালের মন্ত্রিত্বে তিনি সুনাম অর্জন করেন। ১৯০১ অব্দে প্ৰধান মন্ত্রী রায় বাহাদুর কান্তিচন্দ্র মুখোপাধ্যায় সি, আই, ই, মহোদয় পরলোকগমন করিলে মহারাজা মাধো সিং সংসারবাবুকেই ঐ দায়িত্বপূর্ণ পদের সম্পূর্ণ উপযুক্ত পাত্ৰ মনে করেন। সেই অবধি তিনি জয়পুর অমাত্যসভার প্রধান সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিয়া মহারাজার প্রধান সহকারীরূপে নানা বিভাগীয় রাজকাৰ্য্য অতিশয় যোগ্যতা ও প্ৰশংসার সহিত সম্পাদনা করেন । i ১৯০২ অব্দে সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ডের অভিষেক উপলক্ষে সংসারবাবু ও র্তাহার ভ্রাতা ডাক্তার হেমচন্দ্ৰ মহারাজার সহিত ইংলণ্ড যাত্রা করেন । মহারাজার সমুদ্রযাত্রার জন্য র্তাহাকে যেরূপ বন্দোবস্ত করিতে হইয়াছিল, তাহাতে এ ব্যাপার চিরকৌতুকাবহ হইয়া থাকিবে। সংবাদপত্রের পাঠকবর্গ তাহার বিস্তারিত বিবরণ পাঠ করিয়া থাকিবেন। সমুদ্রযাত্রা যে সনাতন হিন্দুধৰ্ম্মানুমোদিত, ইহা প্রমাণ করিয়া মহারাজা সংস্কৃত ও হিন্দী ভাষায় একখানি গ্ৰন্থরচনা করাইয়া তাহার শত শত খণ্ড তখন বিতরণ করেন। ইংলণ্ডে সে সময় জগতের নানা স্থান হইতে বিভবশালী মনস্বী এবং প্রখ্যাত পুরুষগণ সমবেত হইয়াছিলেন। সংসার বাবু এই সূত্রে তাঁহাদের সহিত পরিচিত হন এবং স্বীয় প্রতিভাস্ফরিত মধুৱালাপে সকলকে পরিতুষ্ট করেন। ইতিপূর্বে অর্থাৎ ইংলণ্ডগমনের প্রাক্কালে তিনি তথাকার জনসাধারণের বিজ্ঞাপ্তির জন্য জয়পুররাজ্যের একখানি সংক্ষিপ্ত বিবরণীপুস্তক মুদ্রিত ও প্ৰকাশিত করেন। হিন্দুধৰ্ম্মে একান্ত নিষ্ঠাবান এবং প্রাচীন পদ্ধতির নিতান্ত পক্ষপাতী মহারাজা মাধো সিং যে সমুদ্রযাত্ৰা করিবেন, ইহা এক অভাবনীয় ব্যাপার ছিল। কিন্তু রাজমন্ত্রীর সৎ পরামর্শে ও সুবন্দোবস্ত প্ৰভাবে অসম্ভব সম্ভব হইয়াছিল। সংসার বাবু মহারাজার ইংলণ্ড পরিদর্শনের সহায়তা করিয়া যথেষ্ট সৎসাহস, উদার নীতি, ও দূরদর্শিতার পরিচয় প্রদান করিয়াছিলেন। দিল্লীর বিগত রােজ্যাভিষেক দরবারে ইংরেজ গভৰ্ণমেণ্ট সংসার বাবুকে রায় বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেন। র্তাহার মন্ত্রিত্বে জয়পুর রাজ্যের নানাবিভাগে উন্নতি হইয়াছে। তন্মধ্যে কয়েকটী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ৷ জয়পুররাজ্যে ইতিপূর্বে ডাকটিকিটের প্রচলন ছিল না। পত্ৰাদি পাঠাইবার সময় অথবা গ্রহণের সময় ডাক মাশুল দিতে হইত। এ জন্য তিনি ইউরোপীয় প্রথায় ডাকবিভাগ