পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজপুতানা । ] 8Գ(է প্ৰায় একাদশ বৎসর কাল সুচারুরূপে স্বীয় কৰ্ত্তব্য সম্পাদন করেন । তিনি । অতিশয় ছাত্রবৎসল ছিলেন । তঁহার ছাত্ৰগণের অনেকে এক্ষণে রাজসরকায়ে এবং অন্যত্র উচ্চ উচ্চ পদে সম্মানের সহিত কাৰ্য্য করিতেছেন। মাতিবাবুর হস্তাক্ষর অতিশয় সুন্দর জানিতে পারিয়া মহারাজা তাহাকে লিপিচাতুৰ্য্যের পরিচয় দিতে আজ্ঞা করেন। তাঁহাতে তিনি পঞ্চবিংশতি প্ৰকার আদর্শের ইংরেজী অক্ষরে একখানি পুস্তক লিখিয়া নৃপতির কৌতুহল চরিতার্থ করেন। গ্ৰন্থখানি মুদ্রাযন্ত্রপ্রসূত বলিয়া উপস্থিত পারিষদবর্গের অনেকের ভ্ৰম উৎপাদন করিয়াছিল। মহারাজা বাহাদুর সাদরে উক্ত পুস্তক স্বীয় কক্ষস্থ পুস্তক সংগ্রহের মধ্যে রক্ষা করেন। তিনি যত দিন জীবিত ছিলেন, মতিবাবুকে কলেজের কাৰ্য্য ব্যতীত স্বীয় রাজকাৰ্য্যের সহায়তার জন্য রাজবাটীতে নিযুক্ত করিয়া রাখিয়াছিলেন । ১৮৮০ অব্দের শেষভাগে মহারাজা রামসিংহ পরলোকগমন করিলে বর্তমান মহারাজা সওয়াই মাধবসিংহ বাহাদুর জয়পুরের রাজ সিংহাসনে অধিরূঢ় হয়েন। ১৮৮২ অব্দে তিনি মতি বাবুকে কলেজের অধ্যাপনা কাৰ্য্য হইতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র করিরা স্বীয় সহকারী প্রাইভেট সেক্রেটরির পদে নিযুক্ত করেন। তাহার ছাত্ৰগণ ও সহযোগী শিক্ষকমণ্ডলী তঁহার প্রতি এতদূর অনুরক্ত ছিলেন যে তিনি কলেজের সম্পর্কশূন্য হওয়ায় সকলেই বিশেষ ক্ষুন্ন হইয়াছিলেন এবং প্ৰকাশ্য সভা করিয়া তাহার প্রতি সকলের শ্রদ্ধা ও প্রীতি জ্ঞাপন করিয়াছিলেন । ১৮৮৫ অব্দে উদয়পুরের বর্তমান মহারাণ। ফতেসিংহ বাহাদুরের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে প্ৰাচীন প্রথানুসারে জয়পুরাধিপতি বহু লোকলাস্কর্যাদি সমভিব্যাহারে উদয়পুর গমন করেন এবং তৎসম্পৰ্কীয় কাৰ্যভার কৌন্সিলের একজন মেম্বর ও মাতিবাবুর উপর ন্যস্ত হয়। মতিবাবুর কার্য্যকুশলতায় মহারাজা পরম সন্তুষ্ট হইয়া রাজানুগ্রহের নিদর্শনস্বরূপ তঁহাকে শিরোপা প্ৰদান করেন । ১৮৮৮ অব্দে যখন মহীশূররাজ, ১৯০০ অব্দে মহীশূরের যুবরাজ, এবং ১৮৯৭ অব্দে কাশ্মীরাধিপতি মহারাজা প্ৰতাপসিংহ বাহাদুর জয়পুরের মহারাজার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসেন তখন প্ৰতিবারই রাজপক্ষ হইতে র্তাহাদের অভ্যর্থনা এবং দৌত্যকাৰ্য্যে মািতবাবু উপযুক্ত এবং বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী বলিয়া মনােনীত হন। জয়পুরাধিপ কাশ্মীরের মহারাজাকে গ্ৰীতি ও স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ হীরকাদি ।