পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৬৩৬

Gezo বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । পক্ষপাতী ছিলেন। তখন যুবরাজ ( পরে মহারাজাধিরাজ্য) সরদার সিংহ তাহার চিকিৎসাধীন থাকিয়া নানা উৎকট রোগ হইতে মুক্ত হন। তদীয় খুল্লতাত যোধপুররাজের প্রধান অমাত্য কর্ণেল সারা প্ৰতাপসিংহ বাহাদুর জি সি, এস, আই প্রমুখ প্ৰধান প্ৰধান রাজপুরুষ এই বাঙ্গালী ডাক্তারের গুণে মুগ্ধ ছিলেন। প্ৰায় ১১ বৎসর হইল দরবার চিকিৎসক শ্ৰীযুক্ত হরিগোপাল গুপ্ত মহাশয় যোধপুর হইতে র্তাহার সম্বন্ধে একখানি বাঙ্গালা সংবাদপত্রে লিখিয়াছিলেন- “সম্প্রতি যশের পুরস্কারস্বরূপ যাহা রাজপুতানায় অত্যন্ত সম্মানের চিহ্ন এবং জয়পুররাজ্যের মন্ত্রী শ্ৰীল শ্ৰীযুক্ত বাবু কান্তিচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ব্যতীত যাহা দ্বিতীয় বাঙ্গালীর ভাগ্যে হয় নাই সেই সম্মানে সম্মানিত করিয়া মহারাজাধিরাজ সরদার সিংহ বাহাদুর প্রিয়নাথ বাবুর পায়ে “তাজিম কা সোনা” দিয়াছেন অর্থাৎ সোনার মাল পরাইয়া দিয়াছেন । ইহা পায়ে থাকিলে প্ৰিয়নাথ বাবু রাজসমীপে উপস্তিত হইলে মহারাজাধিরাজ বাহাদুর সিংহাসনে বসিয়া থাকিলেও তাহা ত্যাগ করিয়া উঠিয়া সম্ভাষণ করিবেন এবং দৈবক্রমে যদি অন্য দেশের রাজাও সেই স্থানে উপস্তিত থাকেন তাহা হইলে তঁাহাকেও উপরিউক্ত রূপ সম্ভাষণ করিতে হইবে * * * এ সংবাদে রাজপুতানার সমস্ত বাঙ্গালীই বিশেষ প্রীত হইয়াছেন এবং মনে মনে আপনাদিগকে গৌরবান্বিত বোধ করিতেছেন । * * * তাজিমের সোনা পাইলে বাৎসরিক অন্ততঃ ৬০০০ ছয় হাজার টাকা আয়ের একখানি জায়গীর উপহার পাওয়া যায় । * * **