পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৬৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশ্মীর, সিকিম ভুটান ও নেপাল। ᏊtᏬ9 রোগজীর্ণ নিরাশ্রয়ের আশ্রয় এবং দরিদ্র আতুর নরনারীর ভরসাস্থল হইয়াছে। জনসাধারণ ইহার উপকারিতা এতদূর উপলব্ধি করিতে পারিয়াছে যে, গ্ৰাম্য কুসংস্কারের বাধ লঙ্ঘন করত: পল্লীবাসী কৃষক পৰ্যন্ত রুগ্নাবাসে আসিয়া আশ্রয় লইয়া থাকে। ১৮৯৪ সালের ৭ই নবেম্বর তারিখের “পাইওনিয়ার” পত্রিকা বিলিয়াছিলেন "That an institution like this should within the year be the means of administering to the wants of 2,000,000 sufferers from the poorer classes shows how well the hospital is known ' বস্তুতঃই যে রুগ্নাবাসে বৎসরে দু’লক্ষ দরিদ্র রোগী চিকিৎসিত হয়, তাহা যে আপামর সাধারণের নিকট সুপরিচিত তাঁহাতে আর সন্দেহ কি ? বড়লাট ল্যান্সডাউন ও লর্ড রবার্টস বাহাদুর মহারাজের এই রুগ্নাবাস দর্শন করিতে আসিয়া ইহার কার্য্যকারিতায় বিস্মিত হইয়াছিলেন। ১৩১৪ বৎসর অতীত হইল যখন বিসূচিকা মহামারীর প্রবল আক্রমণের মুখে পতিত হইয়৷ কাশ্মীরের অসংখ্য নরনারী প্ৰাণ হারাইতেছিল, যখন অসহ যন্ত্রণাতাড়িত মুমূর্ষুর আর্তনাদে এবং প্ৰাণসম প্ৰিয়জনদিগের অকালবিয়োগজনিত আবালবৃদ্ধবনিতার বিলাপধ্বনিতে চতুর্দিক পূর্ণ হইয়া উঠিয়াছিল তখন সেই দুর্দিনে একজন বাঙ্গালী শত শত নরনারীর সান্তনাস্থল হইয়াছিলেন। ডাক্তার মিত্ৰ বাহাদুর ধনীর অট্টালিকাল দরিদ্রের কুটীরে, রুগ্নাবাসে এবং আতুরালয়ে দিবানিশি গমনাগমন করিয়া বহুসংখ্যক নরনারীকে মৃত্যুমুখ হইতে ফিরাইয়া আনিয়াছিলেন। তঁহার সেই পরিশ্রম, ধৈৰ্য্য, সাহস এবং কৰ্ম্মকুশলতা দর্শনে সকলে চমৎকৃত হইয়াছিলেন। বঙ্গীয় চিকিৎসাবিভাগের প্রধান কৰ্ম্মচারী হাবী প্রমুখ পদস্থ ব্যক্তিগণ, ভারতীয় সংবাদপত্র ও মেডিকেল রিপোটর, মেডিকেল রেকর্ড, ল্যান্সেট প্রভৃতি চিকিৎসাবিজ্ঞানবিষয়িণী পত্রিকাদি ডাক্তার মিত্রের প্রশংসা করিয়াছিলেন । বঙ্গদেশের সিবিল হাসপাতালসমূহের ইনস্পেক্টর জেনারাল সার্জন কর্ণেল হাবী তাহার রিপোটের এক স্থানে লিখিয়াছিলেন :- "The brunt of the work fell on Dr. A. Mitra who exerted himself in the most energetic manner throughout, not sparing himself day or night.”