পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. . . . نه ‘يه - ::۔ * .. তদ্ব্যতীত তিনি এখানে ব্রাহ্মণ-ভোজনার্থ ছত্র স্থাপন, ভাস্কর-পুষ্কর তীর্থে পুষ্করিণী খনন, পিশাচমোচন তীর্থে পুষ্করিণী খনন, আদি-কেশবের ঘাট নিৰ্ম্মাণ এবং মন্দির ও ধৰ্ম্মশালা প্ৰতিষ্ঠা, পঞ্চক্রোশীর রাস্তা ও তাহার স্থানে স্থানে ধৰ্ম্মশালা নিৰ্ম্মাণ এবং নানাস্থানে কৃপ ও উদ্যান প্রভৃতি প্ৰতিষ্ঠা করিয়া জন সাধারণের পরম হিতসাধন করিয়া গিয়াছেন। রাণী ভবানীর আর এক কীৰ্ত্তির জন্য ইনি কাশীতে চিরস্মরণীয়া আছেন। ইনি ৩৬০ জন ব্রাহ্মণের প্রত্যেককে একখানা বাড়ী ও এক হাজার টাকা দান করেন। কিম্বদন্তী এই যে কাশীর বাঙ্গালীটোলা স্থাপনার উহাই মূল। কিন্তু জনৈক শতবর্ষবয়স্ক হিন্দুস্থানী ব্রাহ্মণ ও জনৈক বৃদ্ধ দণ্ডী বলিলেন, তৎকালীন বাঙ্গালী ব্ৰাহ্মণের দান গ্ৰহণ না করায় অপরদেশীয় ব্ৰাহ্মণদিগকে ঐগুলি প্রদত্ত হয় । ত্রিপুর-ভৈরবে উক্ত সমগ্ৰ পল্পীই নাটােরের মহারাণী ভবানীর পুণ্যকীৰ্ত্তি, উক্ত মহল্লার নাম ব্ৰহ্মপুরী। কাশীধামে রাণী ভবানী স্বয়ং অন্নপূর্ণ জ্ঞানে জনসাধারণে ভক্তির সহিত পূজিত হইতেন। দেবী অন্নপূর্ণর সহিত তাহার একাত্মতা সম্বন্ধে একটী প্ৰবাদ প্রচলিত আছে। কোন কারণে একবার কাশীতে টাকা পাঠাইতে বিলম্ব হইলে তিনি রাজসাহীর অমৃতলাল নামক জনৈক ধনী মহাজনের নিকট এক লক্ষ টাকা ধার চাহেন। কিন্তু মহাজন তাহা দিতে অস্বীকার করেন। সেই রাত্রে মহাজন স্বপ্নে দেখেন দেবী অন্নপূর্ণ স্বয়ং আবিভূত হইয়া মহাজনকে তিরস্কার করিয়া বলিতেছেন “দুবুদ্ধি ! করিয়াছিস কি ? রাণী ভবানীর অনুরোধ অমান্য করিয়াছিস ? আমাতে আর রাণী ভবানীতে কি কোন প্ৰভেদ আছে ? রাণী ভবানী আমারই রূপভেদ মাত্র।” পরদিন প্ৰভাতে মহাজন নিদ্রা ত্যাগ করিয়া অবিলম্বে এক লক্ষ টাকা লইয়া স্বয়ং রাণী ভবানীর প্রাসাদে গিয়া উপস্থিত হইলেন এবং রাণীর সাক্ষাতের জন্য। প্রার্থনা জানাইলেন। কিন্তু রাণী বলিয়া পাঠাইলেন “অন্নপূর্ণার মন্দিরে আমার দেখা পাইবে।” মহাজন পরে একদা কাশীযাত্রা করেন এবং অন্নপূর্ণার মন্দির দর্শন করিতে যান। মহাজন অন্নপূর্ণার মন্দির-দ্বারে উপস্থিত হইয়াই দেখেন রাণী ভবানী অন্নপূর্ণর পূজা করিতেছেন!! মহাজনের আর বিস্ময়ের সীমা রহিল না, তিনি বুঝিলেন এতদিনে তাহার স্বপ্ন সফল হইল। " কথিত আছে রাণী উত্তরকালে ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে এত অধিক মনোনিবেশ করিয়াছিলেন যে জমীদারীর আয় ব্যায় রাজস্ব আদায় প্রভৃতি বিষয়ে যথোপযুক্ত মন