পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশী । ७१ কর্তৃক ১৩১১ বঙ্গাব্দে প্রতিষ্টিত হয়। শাস্ত্রী মহাশয় কাশীর নারদঘাট পল্লীস্থ টােলে অধ্যয়ন করিবার পূৰ্ব্বে কলিকাতা সংস্কৃত কলেজ হইতে কাব্যতীর্থ উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। পরে তিনি কাশীর জয়নারায়ণ কলেজ হইতে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের শাস্ত্রী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এই পরীক্ষা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু ইনি ছয়মাস কালের মধ্যেই তজ্জন্য প্রস্তুত হন। শাস্ত্রী মহাশয় ১৬১৭ বৎসর বয়সে কাশী-প্রবাসে বসিয়া “যৌবন বিলাস’ নামক একখানি সংস্কৃত পদ্যগ্রন্থ রচনা করেন। কিছুদিন ইনি বোলপুর ব্রহ্মবিদ্যালয়ে অধ্যাপকতা করিয়াছিলেন। এক্ষণে ইনি মালদহ হরিশ্চন্দ্রপুরে থাকিয়া সাহিত্য-সেবায় ব্ৰতী আছেন। প্ৰয়াগপ্রবাসী পুণ্যচেতা মাধবদাস বাবাজীর সহপাঠী স্বৰ্গীয় কালীচরণ চট্টোপাধ্যায় কাশীনরেশ ঈশ্বরীপ্রসাদ নারায়ণের দেওয়ানের পদে কিছুকাল অধিষ্ঠিত ছিলেন। তঁহার কৰ্ম্মজীবনের অধিকাংশকাল লক্ষ্মেী সহরে অতিবাহিত হইয়াছিল বলিয়া তাহার বিস্তারিত জীবনী অযোধ্যাপ্রবাসী বাঙ্গালী পরিচ্ছেদের অন্তৰ্গত করা হইয়াছে। তঁহার পুত্ৰ শ্ৰীযুক্ত জ্ঞানানন্দ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় বহু বর্ষ হইতে কাশী-নরেশের জমীদারিতে তহশীলদারের কাৰ্য্যে নিযুক্ত থাকিয়া এলাহাবাদে অবস্থিতি করিতেছেন। বাচস্পত্যপ্ৰণেতা বঙ্গের প্রসিদ্ধ পণ্ডিত ৬/ তারানাথ তর্কবাচস্পতি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সমসাময়িক। ১৮১২ অব্দে বৰ্দ্ধমান কালনায় এই মহাপণ্ডিতের জন্ম। ইনি ৬ বৎসর কাল সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন করিয়া তর্কবাচস্পতি উপাধি প্ৰাপ্ত হন। পরে কাশীতে থাকিয়া বেদান্তাদি শাস্ত্ৰ সম্যকৃরূপে অধ্যয়ন করেন। তিনি নিজ গ্রামে টোল করিয়া বহুছাত্রকে অন্ন ও বিদ্যাদান করিতেন এবং কাহারও প্ৰতিগ্রহ না করিয়া ব্যবসায় দ্বারা তাহার আয় হইতে সকলের ব্যয় নিৰ্বাহ করিতেন। র্তাহার জীবন বড়ই অসাধারণ। বিষয় কৰ্ম্মে চির-উদাসীন ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতের কুলে জন্মগ্রহণ করিয়া এবং অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী হইয়াও তিনি লক্ষ্মী এবং সরস্বতী উভয়েরই সমভাবে উপাসনা করিয়াছিলেন। যশের ভাগও তেঁাহার ভাগ্যে অল্প হয় নাই। তিনি নেপাল হইতে শালাকাষ্ঠ আনাইয়া বিক্রয় করিতেন ; চাউল, বস্ত্ৰ, কৃষি প্রভৃতিও তীহার ব্যবসায়ের অন্তৰ্ভুক্ত ছিল। বীরভূমে দশহাজার বিঘা জমি লইয়া তিনি তাহাতে চাষ আবাদ করিতেন, ৫০০ গরু রাখিয়া তাহদের দুগ্ধোৎপন্ন ঘূত কলিকাতায় চালান দিতেন এবং