>o○○ গোষ্ঠ। রাধীর পূর্বরাগ । বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । ধরিয়া যুগল করে বাধয়ে ছাদন-ডোরে বাধে রাণী নবনী লাগিয়া। আহীরী-রমণী হাসে দাড়াইয়া চারিপাশে হয় নয় চাহ সুধাইয়া ॥ আনের ছাওয়াল যত তারা ননী খায় কত মা হইয়া কেবা বাধে করে। যে বল সে বল মোরে না থাকিব তোর ঘরে এত দুখ সহিতে কেবা পারে । বলাই খায়্যাছে ননী মিছা চোর বলে রাণী ভাল মন্দ না করে বিচার। পরের ছাওয়াল পায়্যা মারেন আসিয়া ধায়া শিশু বলি দয়া নাহি তার। অঙ্গদ বলয় তাড় আর যত অলঙ্কার আর মণি-মুকুতার হার। সকল খসাইয়া লহ আমারে বিদায় দেহ এ দুখে যমুনা হব পার। বলরাম দাসে কয় এই কৰ্ম্ম ভাল নয় ধাইয়া গোপাল কর কোরে। যশোদা আসিয়া কাছে গোপালের মুখ মোছে অপরাধ ক্ষমা কর মোরে। গোঠে আমি যাব মাগো গোঠে আমি যাব। শ্ৰীদাম সুদাম সঙ্গে বাছুরী চরাব । চুড়া বান্ধি দেগো মা মুরলী দে মোর হাতে। আমার লাগিয়া শ্ৰীদাম দাড়গঞাছে পথে ॥ পীত ধড়া দেগো মা গলায় দেহ মালা। মনে পড়ি গেল মোর কদম্বের তলা ॥ শুনিঞা গোপালের কথা মাতা যশোমতী। সাজায় বিবিধ বেশে মনের আরতি ॥ অঙ্গে বিভূষিত কৈলা রতন-ভূষণ। কটিতে কিঙ্কিণী ধটি পীত বসন ॥ কিবা সাজাইল রূপ ত্রিভুবন জিনি। পুষ্পগুচ্ছ শিখিপুচ্ছ চুড়ার টালনি (১)। চরণে নুপুর দিলা তিলক কপালে। চন্দনে চর্চিত অঙ্গ রত্ন-হার গলে ॥ বলরাম দাসে কয় সাজাইয়া রাণী । নেহারে গোপাল-মুখ কাতর পরাণী ॥ রাধা-কৃষ্ণ-পদাবলী। কিবা রাতি কিবা দিন কিছুই না জানি। জাগিতে স্বপনে দেখি কাল রূপখানি ॥ আপনার নাম মোর নাহি পড়ে মনে। পরাণ হরিল রাঙ্গা নয়ন-নাচনে ॥ (১) টালনি=ন্ধক ভাবে হেলন।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।