পদাবলী-বিবিধ পদকর্তা–১৫-১৮শ শতাব্দী। )))\9 এক তিল তোমা বঁধু না দেখিলে মরি। ছাড়িয়া কেমনে যাব পরাধীন নারী ॥ হিয়ার মাঝারে থৌব বসনে ঝাপিয়া । প্রেমদাস কহে রাই দৃঢ় কর হিয়া । জগন্নাথ দাস । ইনি উড়িষ্যাবাসী ছিলেন। ইহার “রসোজ্জ্বল” নামক গ্রন্থ এক সময়ে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল। শুন বিনোদিনি ধনি আমার কাণ্ডারী তুমি তোমার কাণ্ডারী কহ করে। তুরা অনুরাগে প্রেমী সমুদ্রে ডুবাছি আমি আমারে তুলিয়া কর পারে। যোগী ভোগী নাপিতানী তোমার লাগিয়া দানী ওঝা হৈলাম তোমার কারণে । (১) তুয়া অনুরাগে মোরে লৈয়া ফিরে ঘরে ঘরে তুয়া লাগি করিনু দোকানে। রাখাল হইয়া বনে সদা ফিরি ধেনু-সনে তুয়া লাগি বনে বনচারী। তোমার পীরিতি পায়্যা এ ভাঙ্গ তরণী লয়্যা তুয়া লাগি হইনু কাণ্ডারী ॥ না বোলো কুবোল ধনি রমণীর শিরোমণি তুয়া প্রেমে কি না করি আমি । দাস জগন্নাথে কয় না ঠেলিত রাঙ্গা পায় জাতি-জীবন-ধন তুমি ৷ রাধামোহন ৷ ইনি প্রসিদ্ধ “পদসমুদ্র”-সঙ্কলয়িতা। ইহার বিবরণ “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের” ৩১৬ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। আজু হাম কি পেখলু নবদ্বীপ-চন্দ। করতলে করই বয়ান অবলম্ব ॥ পুন পুন গতাগতি কর ঘর পন্থ। (২) থেনে থেনে ফুল-বনে চলই একান্ত ॥ ছলছল নয়ন-কমলে স্থবিলাস । নব নব ভাব করত পরকাশ ৷ (১) কৃষ্ণ যোগী, নাপিতনী, ওঝা ও দানী প্রভৃতির ছদ্মবেশ ধারণপূর্বক রাধার সঙ্গে মিলনের চেষ্টা পাইয়াছিলেন। তাহা চণ্ডিদাস প্রভৃতি কবিগণ বিস্তৃতভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। (২) গৃহ ও পথ উভয়ের মধ্যে পুনঃ পুনঃ যাতায়াত করেন।
- 8 o'