পদাবলী—বিবিধ পদকর্তা–১৫-১৮ শ শতাব্দী। ১১২৫ সঁ7থায় সিন্দুর নয়নে কাজর তাহে চন্দনের রেখা । নব জলধরে অরুণ কোরে নবীন চাদের দেখা ৷ শুীমানন্দ ভণে নিকুঞ্জ ভবনে কলপ-তরুর-মূলে। রসের আবেশে বৈসে বিনোদিনী শুশম-নাগরের কোলে ৷ শুনলো পরাণ সই মরম-কথা তোরে কই আমি গিয়াছিলাম যমুনার কুলে। ( সাঝের বেলা )— (দেখৃলাম) নন্দের নন্দন কাল্প করেতে মোহন বেণু ব্যাধ-ছলে কদম্বের তলে ৷ দিয়া হাস্ত্য-সুধা চার অঙ্গ-ছটা আঁটা তার আখি-পাখী তাহাতে মজিল । আমার মন-মৃগী সেই কালে পড়িল ব্যাধের জালে বদ্ধ হয়ে সেখানে রহিল ৷ ( আমার কি না ছিল সই )– ধৈর্য্যশালা হেমাগার গুরু-গৌরব সিংহ-দ্বার ( সতীত্ব-) ধরম কপাট ছিল তায় । বংশীরব বজ্রাঘাত পড়ে গেল অকস্মাৎ সমভূম করিল আমায় ॥ দম্ভশালে মত্ত-হাতী বাধা ছিল দিবারাতি ক্ষিপ্ত কৈল কটাক্ষ-অঙ্কুশে । দম্ভের শিকল কাটি আবেশে লুকাল ছুটি পালাইয়া গেল কোন দেশে ॥ আছে শুধু প্রাণ বাকি তাও বুঝি যায় সখী কি করব কহবি উপায়। শু্যামানন্দ দাসে কয় শুামত ছাড়িবার নয় পার যদি ধর গিয়া পায় ॥ জগদানন্দ । “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে”র ৩০৭ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য। অবিরত বাদর বরিখত দরদর বহুই তরলতর বাত। বিষধর নিকর ভরল পথ অরু কত অজর (১) বজর বিনিপাত ॥ (১) আজর = অজস্ৰ ।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।