পদাবলী—বিবিধ পদকৰ্ত্তা—১৫-১৮ শ শতাব্দী। ১১৩১ রায়শেখর, চন্দ্রশেখর ও শশিশেখর। এই তিনই এক ব্যক্তির উপাধি। বিশেষ বিবরণ “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে”র ৩১০ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। সই পরিতি পিয়া সে জানে। যে দেখি যে শুনি চিতে অনুমানি নিছনি দিয়ে পরাণে ॥ মো যদি সিনান আগিলা ঘাটে পিছিল ঘাটে সে নায়। মোর অঙ্গের জল পরশ লাগিয়া বাহু পসারিয়া রয় ॥ বসনে বসন লাগিবে লাগিয়া একই রজকে দেয়। মোর নামের আধ আখর পাইলে হরিষ হইয়া লেয় ॥ ছায়ায় ছায়ায় লাগিবে লাগিয়া ফিরয়ে কতেক পাকে। আমার অঙ্গের বাতাস যে দিগে সে মুখে সে দিগে থাকে। মনের আকুতি বেকত করিতে কত না সন্ধান জানে। পায়ের সেবক রায়শেখর কিছু বুঝে অনুমানে ॥ সেকাল গেল বয়্যা বঁধু সেকাল গেল বয়্যা । আখি ঠারিঠারি মুচকি হাসি কত না কত্তে রয়্যা । বেশের লাগ্য দেশের ফুল না রইত বনে। নাগরী সনে নাগর হল্যা আর চিনবে কেনে ॥ কুলি বেড়ায়্যা (১) নাম লৈয়া ফিরিতে বংশী বায়্যা। মুখের কথা শুনতে কত লোক পাঠাইতে ধায়্যা ॥ হাতে কর্যা মাথায় কৈলু কলঙ্কের ডালা । শেখর কহে পরের বেদন নাহি জানে কালা ॥ শীতল তছু অঙ্গ হেরি পরশ-রস-লালসে করল কুল ধরম গুণ নাশে । সে যদি তেজল কি কাষ ইহ জীবনে আন লো সখি গরল করি গ্রাসে ॥ প্রাণাধিক রে সখি কাহে তোরা রোআসি মরিলে করৰি ইহ কাযে । নীরে নাহি ডারবি অনলে নাহি দাহবি রাখবি তনু ইহ বরজ-মাঝে ॥ হামারি দুন বাহু ধরি সুদৃঢ় করি বান্ধবি শামরূপী তরু-তমাল-ডালে। ললাট হৃদি বাহু-মূলে স্যাম-নাম লেখবি তুলসী-দাম দেয়বি গলে ॥ ললিতা লেহু কঙ্কণ বিশাখ লেহ অঙ্গুরী চিত্রা লেহ নিৰ্ম্মল চুড়িতে। বিরহ-অনলে রাধা সতত হি কাতর গুনি শেল শশিশেখর-চিতে ॥ (১) নদীর কুলে বেড়াইয়া ।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।