শ্বেত পদ্মবনে যেন মত্ত ভৃঙ্গ ঘোরে
হিহি গম্ভীর নাদে প্রিয় গো ফুকারে॥
গঙ্গা গোদাবরী নাম ধবলী সাঙলী।
পিষংগী কালিন্দী তুঙ্গী যমুনা কমলী॥
হংসী বংশী প্রিয়ে অলি হরিণী করিণী।
রম্ভা চম্পা করিয়া করয়ে হিহি ধ্বনি॥
দুই জানুমধ্যে তবে ধরিয়া দোহিনী।
পদাঙ্গুলী অগ্রে তার করিয়া ধরণী॥
দোহারে গাভীর দুগ্ধ দোহায় সমারে।
বাছুরে পিয়ায় স্তন অতি হর্ষভরে॥
চতুর রঙ্গিণী রাই সখীগণ সঙ্গ।
যুগত করিয়া করে বুড়ীর সনে রঙ্গ॥
অবনত হইয়া বসিলা তার কাছে।
বধূরে বিরস দেখি বুড়ী ঘন পুছে॥
আজি কেন তোমারে এমন পারা দেখি।
বদন অরুণ আর ছলছল আঁখি॥
কে বা কি বলিল তোরে কেনেবা এমন।
আমার শপতি লাগে কহিবে এ ধন॥
শাশুড়ী বচন শুনি কহে বিনোদিনী।
আপন করম ভোগ ভুঞ্জিয়ে আপনি॥
কে মোর আপন বটে কাহারে কহিব
যে যত কহয়ে তাহা সকলি সহিব॥
সহজে চক্ষের বালি হইয়াছি সবার।
এমন পাড়ার লোক করয়ে থাকার॥
আপন মাথার কেশ না পারি বান্ধিতে
তাহে পর ঘর যাই রন্ধন করিতে॥
বড়ার বহুরী আমি বড়ার ঝীয়ারী
কুলবধূ তাহে কথা সহিতে না পারি॥
সখীরা সরস করি রাইরে বুঝায়।
এ বোল বলিতে ধনি তোরে না যু্যায়॥