মুসলমান বৈষ্ণব-পদকৰ্ত্তাগণ ।* আলওয়াল । ইনি প্রসিদ্ধ “পদ্মাবৎ-প্রণেত। “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে”র ৫৬৯-৫৮১ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য। ননদিনী রস-বিনোদিনী ও তোর কুবোল সহিতাম নারি ॥ ধ্রু॥ ঘরের ঘরণী জগতমোহিনী প্রত্যুষে যমুনায় গেলি। বেলা অবশেষ নিশি পরবেশ কিসে বিলম্ব করিলি। (১) প্রত্যুষ বেহানে কমল দেখিয়া পুষ্প তুলিবারে গেলুম। বেলা উদনে কমল মুদনে ভ্রমর-দংশনে মৈলুম। কমল-কণ্টকে বিষম সঙ্কটে করের কঙ্কণ গেল। কঙ্কণ হেরিতে ডুব দিতে দিতে দিন অবশেষ ভেল। সীর্থের সিন্দূর নয়নের কাজল সব ভাসি গেল জলে। হের দেখ মোর অঙ্গ জরজর দারুণি পদ্মের নালে ॥ কুলের কামিনী ফুলের নিছনি কুলে নাইক সীমা । আরতি মাগনে আলওয়াল ভণে জগৎমোহিনী বাম ॥ অলিরাজা । অলিরাজা চট্টগ্রামবাসী ছিলেন, ফেণী-নদীর দক্ষিণ-পাড়ে ইনি বাস করিতেন। ইনি প্রায় ১৭৫ বৎসর পূৰ্ব্বে বিদ্যমান ছিলেন। বনমালী শু্যাম তোমার মুরলী জগ-প্রাণ ॥ ধ্রু ॥ শুনি মুরলীর ধ্বনি ভ্রম যায় দেব মুনি ত্রিভুবন হএ জরজর। কুলবতী যত নারী গৃহ-বাস দিল ছাড়ি শুনিয়া দারুণ বংশী-স্বর ॥
- এই পুস্তকে যে সকল মুসলমান পদকর্তার পদ দেওয়া হইল, তাহা ছাড়া উক্তরূপ পদ আমরা অনেকগুলি পাইয়াছি। স্বৰ্গীয় রমণীমোহন মল্লিক মহাশয়ের সংগ্রহে কতকগুলি অতিরিক্ত পদ আছে। শ্ৰীযুক্ত মুন্সি আব্দুল করিম সাহেব মুসলমান কবি রচিত অনেকগুলি পদ সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকায় প্রকাশ করিয়াছেন।
(১) এইটি ননদিনীর প্রশ্ন এবং পরবর্তী অংশ উত্তর।