>>8b" বৃক্ষতলে চৈতন্ত । চৈতন্ধের প্রতি ভক্তি । বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । সন্ধ্যাকালে আসিলাম (১) ত্ৰিবন্ধু-নগরে। বৃক্ষতলে বসে প্রভু প্রফুল্ল অস্তরে ॥ একজন গ্রাম্য লোক চুণা আনি দিলা। বৃক্ষতলে থাকি প্রভু রজনী যাপিলা ॥ পর দিন এই কথা রটিয়া পড়িল । নগরের লোক ক্রমে আসিয়া জুটিল । গোরার আশ্চৰ্য্যভাব দেখিয়া সকলে । জোড়-হস্তে আসিয়া দাড়ায় সেই স্থলে ॥ হরিনাম করে গোরা মুদিত নয়নে। দাড়াইয়া স্তব করে সবে শুদ্ধ মনে ॥ বসিয়া আছেন প্রভু অঙ্গ নাহি নড়ে। নয়নের কোণ বাহি অশ্রধারা পড়ে ॥ লোমাঞ্চিত কলেবর পুলক অস্তরে। ভাব দেখি গ্রাম্য লোক কত স্তব করে ॥ কেহ বলে মোর গৃহে চলহ সন্ন্যাসী। কেহ বলে তোমারে দেখিতে ভালবাসি ॥ কেহ কেহু ফলমূল আনিয়া যোগায়। নয়ন খুলিয়া মোর প্রভু নাহি চায়। কেহ বলে এ সন্ন্যাসী মানুষ ত নয়। ইহারে দেখিয়া কেন এত ভক্তি হয়। এরে দেখি ইচ্ছা হয় বিষয় ছাড়িতে। মন নাহি চায় আর সংসার করিতে ॥ কেহ বলে আজি সুখে রজনী পোহালো । সন্ন্যাসী দেখিয়া মোর চিত্ত-শুদ্ধি হলো ॥ একজন বুড়া আসি বলে ভক্তি-ভরে। কোথায় সন্ন্যাসী আছে দেথাও আমারে ॥ তাহার আগ্রহ দেখি মোর গোরা-রায় । তাড়াতাড়ি উঠিয়া তাহার কাছে যায়। প্রভূর সম্মুখে বৃদ্ধ প্রণাম করিয়া । ফলমূল চুণা আনি দেয় যোগাইয়া ॥ (১) গোবিন্দ কৰ্ম্মকার দক্ষিণাত মন-কাল চৈতন্যদেবের གཙྰ་ ছিলেন। র্তাহারই এই বর্ণনা। .
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।