বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান—গোবিন্দদাস—১৫১০-১৫১১ খৃঃ । >>Q" প্রভুরে বলেন তুমি নাহি কহ বাণী । স্থপণ্ডিত বলিয়া তোমারে নাহি মানি ॥ সৰ্ব্ব লোকে বলে তুমি বড়ই পণ্ডিত। মুঞি দেখি জ্ঞান নাহি তোমার কিঞ্চিৎ ॥ দেশ-শুদ্ধ হরিবোলা করিয়াছ তুমি । তোমার কিঞ্চিৎ গুণ নাহি দেখি আমি ॥ শুনেছি শাস্ত্রজ্ঞ কিন্তু মুখে নাহি কথা । ভ্ৰমিয়া বেড়াও ভিক্ষা করি যথা তথা ॥ বিদ্যা নাই জ্ঞান নাই বিচার করিতে। ... . . . . তবে কেন মুখ লোক ভোলে আচম্বিতে ॥ কি জানি কেমন ছলে কৌশল করিয়া । সুহ্ম-তত্ত্ব সৰ্ব্ব লোকে দেও দেখাইয়া ॥ এ দেশের মুর্থ লোকে হরিবোলা করি । কেমনে যাইবে তুমি বুঝিব চাতুরি । শক্তি যদি থাকে তবে করহ বিচার । এইবারে বুদ্ধি-শুদ্ধি বুঝিব তোমার ॥ এত বলি ভারতী গোসাঞি দৌড় দিল । তিন সঙ্গি-সহ পুনঃ আসিয়া বসিল ॥ চারি জনে বসিলা প্রভুর চারি ভিতে । এই রঙ্গ দেখি প্রভু লাগিল হাসিতে ॥ ভারতী বলিলা তুমি উড়াও হাসিয়া । মুঞি যাহা বলি তাহ দেখ আলোচিয় ॥ কে হয় উপাস্ত দেব বলহু আমারে। প্রভু বলে কৃষ্ণ ভিন্ন কি আছে সংসারে ॥ ভারতী বলেন শুন শাস্ত্রের প্রমাণ । এক ব্ৰহ্ম সৰ্ব্বেশ্বর বেদের বাথান ॥ যে দিকে তাকাই দেখি সব ব্ৰহ্মময়। এ বাদের নিরাস বলহ কিসে হয় ৷ প্রভু বলে বিচার না করিবারে জানি। মানিলাম সৰ্ব্বতত্ত্বে তুমি হও জ্ঞানী ॥ বিচারে বড়ই তুমি পণ্ডিত গোসাঞি। তোমার নিকটে হলো পরাস্ত নিমাঞি ॥
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।