বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান-গোবিন্দদাস—১৫১০-১৫১১ খৃষ্টাব্দ। V) কোথা রহে দুগ্ধ চিনি কোথায় তণ্ডুল। পদ-স্পর্শে ছিন্নভিন্ন হৈলা ফলমূল । দুই চারি জন বলে কেমন সন্ন্যাসী। " ইচ্ছা করি নষ্ট করে খাদ্য দ্রব্যরাশি ॥নরোজী বলিল কন্তু দেখি নাই হেন । সন্ন্যাসী দেখিয়া মোর প্রাণ কান্দে কেন । কত পাপ করিয়াছি কে পারে বলিতে । আজ কেনে ইচ্ছা হয় কেীপীন পরিতে। কিসের লাগিয়া আজি প্রাণ মোর কাদে । আমি কি দিলাম পাও সন্ন্যাসীর ফঁাদে ॥ নষ্ট হৈল সব দ্রব্য নাহি কর ভয়। পুনঃ যোগাইব আনি এই দ্রব্যচয়। এক পাশ্বে দাড়াইয়া নারোজী আপনি । একদৃষ্টে চেয়ে দেখে গোৱা-গুণমণি ॥ ৪ প্রভুর নয়ন বাহি অশ্রুধার বহে । পুতুলের প্রায় সবে দাড়াইয়া রন্থে। । এই কথা শুনি ক্রমে ডাকাতের দল। : একে একে দেখা দিল ছাড়ি বনস্থল ৷ . অপরাহ-কালে মোর গোরা-গুণমণি।। প্রেমে মূরছিত হয়ে পড়িলা ধরণী ॥ প্রেমে গদগদ তন্তু ধূলায় ধূসর। - অশ্রীধারী হৃদয়েতে পড়ে দরদর ॥ কান্দিয়া নারোজী বলে শুনহ সন্ন্যাসী । কি মন্ত্র পড়িলে তুমি বলহ প্রকাশি। দেখিয়া তোমার ভাব হয় মোর মনে । আর না করিব পাপ থাকি এই বনে ॥ ষাটি বর্ষ বয়ঃক্রম হয়েছে আমার । , পাপ-কাৰ্য্য না করিব ছাড়িব সংসার । , অতি দুরাচার আমি ব্রাহ্মণ-তনয় । মোরে পদ-ধূলি দিতে না কর সংশয় ॥ ছেলেপিলে নাহি মোর নাহিক সংসার । তবে কেন পাপ-কৰ্ম্ম করি আমি আৱ ॥ )8や
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।