বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান—জয়ানন্দের চৈতন্য-মঙ্গল – ১৫৪০ খৃষ্টাব্দ। ১১৬৭ স্ত্রীচৈতন্ত্যের বৈরাগ্য । না লয় চন্দন মালা না পরে বসন । নিগমে (১) বসিঞ থাকে কানো সৰ্ব্বক্ষণ । চাচর কেশ না বান্ধে না শুনে কারে কথা। ভোৱ-দুপর-বেলা গেীর যায় যথা তথা । রহ রহী রে নদীয়ার লোক আমার গৌরাঙ্গ কোথা যাবে। আমার শপথ লাগে যদি কেহ না রহাবে ॥ ধ্রু ॥ আগম নিগম গীতা পুথি বাম করে ৭ করঙ্গ বাধিল গোরা কটির উপরে । গজেন্দ্র-গমনে যায় উলটি না চায় । আউলাইল মাথার কেশ শচী পাছু ধায়। কপূর্ব তাম্বল ছাড়ি প্রিয় কৃষ্ণকেলি। কনক-কুণ্ডল হার হিরণ্য-মাজুলী ৷ ছাড়িঞা পালঙ্ক-শয্যা ভূমে নিদ্রা যায়। কিরে কিরে করি ঘন ডাকে উৰ্দ্ধ-রায় ॥ না করে স্নান গৌর না করে ভোজন। না করে শ্ৰীঅঙ্গে বেশ তৈল-উদ্বর্তন ॥ দুর গেল সন্ধ্যা তৰ্পণ দেবাচন । দুর গেল মন্ত্র জাপ্য তুলসী-বন্দন ॥ নিরবধি সুগন্ধী পরাণ অঙ্গে যার । কত পরিহাস প্রিয় গদাধর সার ॥ শ্ৰীনিবাস মুরারি গুপ্তেরে না কহিয়া। একলা চলিলা প্ৰভু বৈরাগ্য হইয়া ॥ করস্ক কেীপীন পুথি দুরে ফেলাইয়। নেউটয়া নিল মায়ে মন্দিরে লইয়া । বিষ্ণুপ্রিয়া-ঠাকুরাণী চরণে পড়িয়া। কোথায় চলিবে প্রভু আমারে ছাড়িয়া ॥ (১) নির্জনে।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।