নিত্যানন্দের প্রেম-বিলাস। “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে”র ৩৭৭ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য। ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগ । গোস্বামিগণ-বিরচিত গ্রন্থ-সকল গৌড়মণ্ডলে প্রচারের জন্ত তাহ শকটে পূর্ণ করিয়া দ্বাদশজন অস্ত্ৰধারী ব্ৰজবাসী-রক্ষক সমভিব্যাহারে শুামানন্দ ও শ্ৰীনিবাস বৃন্দাবন হইতে গৌড়ের দিকে যাত্রা করেন। পথে বাকুড়া-বনবিষ্ণুপুরের নিকট গোপালপুর গ্রাম। বীরহাম্বীর বিষ্ণুপুরের রাজা, কিন্তু তিনি দক্ষ্যবৃত্তি করিতেন। রক্ষক-সঙ্গে শকট দেখিয়া রাজার জনৈক চর জিজ্ঞাসা করেন—“এই শকটে কি আছে ?” বৃন্দাবনবাসী-রক্ষক ভক্তির ভাষায় বলিল “ইহাতে রত্ন আছে।”— রত্ন অর্থ গ্রন্থ-রত্ন’ । রাত্রিকালে বীরহাম্বীরের নিযুক্ত দস্থ্যগণ রক্ষকদিগকে প্রহার করিয়া শকট লইয়া যায়। তিন জন তত্ত্বাবধায়কের উপর এই গ্রন্থগুলির ভার দ্যস্ত ছিল। তন্মধ্যে শুমানন্দ গৌড়দেশে গমন করেন। নরোত্তম ঠাকুর এই দুঃসংবাদ বৃন্দাবনে দেওয়ার জন্ত তথায় রওনা হইয়া যান। শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য গোপালপুরে থাকিয়া গ্রন্থ-উদ্ধারের চেষ্টায় নিযুক্ত থাকেন। এই গ্রন্থগুলি গোস্বামিগণের আজীবন চেষ্টার ফল এবং তাহীদের নিকট ঐ সমস্ত গ্রন্থের প্রতিলিপি ছিল না। কৃষ্ণদাসের চৈতন্য-চরিতামৃতের ন্তায় গ্রন্থও ইহার মধ্যে ছিল। শ্ৰীনিবাস বীরহাম্বীরের সভায় যাইয়া কিরূপে পুস্তকগুলির উদ্ধার-সাধন করেন, তাহার বৃত্তান্ত নিম্নে প্রদত্ত হইয়াছে। এথা আচাৰ্য্য ঠাকুর (১) বনে বুলেন ভ্ৰমিয়া । একদিন বিষ্ণুপুর প্রবেশিলা গিয়া ॥ কারে নাহি জানেন কেহো তারে নাহি জানে । বাউলের প্রায় কেহো করে অনুমানে ॥ এক বহিৰ্ব্বাস কেীপীন এক হয়। দেড় হাত বস্ত্র তাতে শরীর মোছয় ॥ সেহ পুরাতন অতি মলিন বসন । অতি রুশ অঙ্গ গ্রামে করেন ভ্রমণ। (১) শ্রমিবাস আচাৰ্য্য ।
- i 3. ?"必な