Re: বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । শ্ৰীজীব গোসাঞি মোরে হৈলা কৃপাবান। সেই সে ভরসায় মুঞি রাখিয়াছি প্রাণ ৷ সে রাত্রি প্রভাত হৈল কিছু আছে শেষ। স্তব পড়ে পুনঃ পুনঃ আনন্দ-আবেশ । রাজার নাহিক নিদ্রা শুনএ শ্রবণে । শুনিয়া বিচার করে আপনার মনে । এত গুণে মনুষ্য কি পৃথিবীতে হয়। ইহার দর্শন মোর ভাগ্যের উদয় ॥ প্রাতঃকালে উঠি গেলা ঠাকুরের স্থান । দাণ্ডাইয়া দর্শন করি করএ প্রণাম ॥ ঠাকুর কহেন বৈস ভাল হইল আইলে । অনেক ভাগ্য হয় রাজা দেখিলে সকালে । রাজ কহে যেই আজ্ঞা সেই সত্য হয়। তোমার দর্শনে কত যায় পাপ ক্ষয় ॥ ঠাকুর কহে প্রাতঃস্নান প্রত্যহ আমার। ঘরে অসি রাজা মনে করিল বিচার ॥ জল-পাত্র দুই নেীতন আনাইল । ঠাকুরের আগে লঞা আপনে ধরিল ॥ জল-পাত্র নাহি ঠাকুর কর অঙ্গীকার। পণ্ডিতের ত্রাণ লাগি তোমার অবতার ॥ তুমি মহারাজা তোমার আশ্রিত ব্রাহ্মণ। তাথে তোমার ইংসা সেই হয় মোর মন । পণ্ডিত আনিঞী রাজা জিজ্ঞাসিল তারে । কালি কি শুনিবে তাহা কহত আমারে । মহারাজা তারে দেখি মোর চমৎকার। অর্থ বুঝিবার শক্তি নাহি যে আমার । তারে লৈঞ রাজা গেল ঠাকুরের স্থানে । সেবার লাগিয়া তারে করে সমর্পণে ॥ সেবার সামগ্ৰী সব আনি দিল তারে। আপনার হাতে সব ব্যবহার করে ॥ ভোজন করিলে রাজা বসিলেন আসিয়া । ঠাকুরের নিকটে দিল পুস্তক আনাইয়া ।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।