পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান—চৈতন্য-চরিতামৃত— ৬০৬-১৬১৫ খৃঃ । ১২৪৭ তোমা সভা জানি আমি প্রাণাধিক করি । প্রাণ ছাড়া যায় তোমা সভা ছাড়িতে না পাৰি ॥ তুমি সব বন্ধু মোর বন্ধু-কৃত্য কৈলে। ইহঁ৷ আনি মোরে জগন্নাথ দেখাইলে ॥ এবে সভা-স্থানে মুঞি মাগো এক দানে । সভে মিলি আজ্ঞা দেহ যাইব দক্ষিণে ॥ শুনিয়া সভার মনে হৈল মহাদুঃখ । বজ্ৰ যেন মাথে পড়ে শুকাইল মুখ ॥ নিত্যানন্দ প্রভু কহে ঐছে কৈছে হয়। একাকী যাইবে তুমি কে ইহা সহয় । এক দুই সঙ্গে চলুক না পড় হঠ-রঙ্গে। (১) যারে কহ সেই সেই চলুক তোমার সঙ্গে ॥ দক্ষিণের তীর্থ-পথ আমি সব জানি । আমি সঙ্গে চলি প্রভু আজ্ঞা দেহ তুমি । প্রভু কহে আমি নৰ্ত্তক তুমি স্বত্রধার। যৈছে তুমি নাচাহ তৈছে নৰ্ত্তন আমার ! সন্ন্যাস করিয়া আমি চলিলাঙ বৃন্দাবন । তুমি আমা লৈয়া আইলা অদ্বৈত-ভবন । নীলাচল আসিতে পথে ভাঙ্গিলে মোর দণ্ড । তোমা সভার গাঢ় স্নেহে আমার কার্য্য-ভঙ্গ ॥ (২) জগদানন্দ চাহে আমায় বিষয় ভুঞ্জাইতে । যেই কহে সেই ভয়ে চাহিয়ে করিতে ॥ কন্তু যদি ইহার বাক্য করি এ অন্যথা । ক্রোধে তিন দিন আমায় নাহি কহে কথা ॥ মুকুন্দ হয়েন দুঃখী দেখি সন্ন্যাস-ধৰ্ম্ম । তিনবার শীতে স্নান ভূমিতে শয়ন ॥ অন্তরে দুঃখী মুকুন্দ নাহি কহে মুখে। ইহার দুঃখ দেখি আমার দ্বিগুণ হয় দুঃখে ॥ (১) অন্ততঃ দুই এক জন পার্ষদ সঙ্গে চলুক ; হঠতী-( অবিবেচন ) পূৰ্ব্বক কাৰ্য্য করিও না। (২) তোমাদের অত্যধিক স্নেহে আমার কার্য্য নষ্ট হয়। c