বৈষ্ণব-চরিত্যখ্যান-চৈতন্য-চরিতামৃত—১৬৪৬-১৬১৫ খৃঃ। ১২১৭ সকল বৈষ্ণব যবে গৌড়দেশ গেলা । সনাতন মহাপ্রভুর চরণে রহিলা । দোলযাত্রাদিক প্রভুর সঙ্গে দেখিল। দিনে দিনে প্রভু-সঙ্গে আনন্দ বাঢ়িল । পূৰ্ব্বে বৈশাখমাসে সনাতন যবে আইলা । জ্যৈষ্ঠমাসে প্রভু তারে পরীক্ষা করিলা ॥ জ্যৈষ্ঠমাসে প্রভূ যমেশ্বর-টোটা আইলা । ভক্ত-অনুরোধে তাহাই ভিক্ষা করিলা ॥ মধ্যাহ্নে ভিক্ষা-কালে সনাতনে বোলাইলা । প্রভু বোলাইল তার আনন্দ বাঢ়িলা ॥ মধ্যাহ্নে সমুদ্রের বালু হঞাছে অগ্নি-সম । সেই পথে সনাতন করিলা গমন ॥ প্রভু বোলাঞাছে এই আনন্দিত মনে। তপ্ত বালুতে পা পোড়ে তাহা না জানে ॥ দুই পায়ে ফোস্কা হৈল গেলা প্রভূর স্থানে। ভিক্ষা করি মহাপ্রভু করিয়াছে বিশ্রামে। ভিক্ষা-অবশেষ পাত্র গোবিন্দ তারে দিলা । তপ্ত বালু-পথে। প্রসাদ পাঞ সনাতন প্রভু-পাশে আইলা ॥ প্রভু কহে কোন পথে আইলা সনাতন। তেহে কহে সমুদ্র-পথে করিলা গমন ॥ প্রভু কহে তপ্ত বালুতে কেমতে আইলা । সিংহদ্বারের পথ শীতল কেনে না আইলা ॥ তপ্ত বালুতে তোমার পাএ হৈল ব্ৰণ । চলিতে না পার কেমতে করিলে সহন। সনাতন কহে দুঃখ বহু না পাইল । পাএ ব্ৰণ হইয়াছে তাহ না জানিল ॥ সিংহদ্বারে যাইতে মোর নাহি অধিকার । বিশেষে ঠাকুরের তাই সেবক-প্রচার । সেবক সব গতাগতি করে অবসরে । কারো সহ স্পর্শ হৈলে সৰ্ব্বনাশ হবে মোরে ॥ শুনি মহাপ্রভু মনে সন্তোষ পাইলা । তুষ্ট হৈঞা তারে কিছু কহিতে লাগিলা ॥ &రి
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।