বৈষ্ণব-চরিত্যখ্যান—চৈতন্য-চরিতামৃত—১৬৪৬-১৬১৫ খৃঃ। ১২২১ আমি সন্ন্যাসী আমার সমষ্টি ধৰ্ম্ম । চন্দনে পঙ্কে আমার জ্ঞান হয় সম ॥ এই লাগি তোমা ত্যাগ করিতে না যুয়ায়। ঘূণাবুদ্ধি করি যদি নিজ ধৰ্ম্ম যায়। হরিদাস কহে প্ৰভু যে কহিলে তুমি। এই বাহ-প্রতারণা নাহি মানি আমি ॥ আমা সভা অধমে যে করিয়াছ অঙ্গীকার । দীন-দয়ালু গুণ করিতে প্রচার । প্রভু হাসি কহে শুন হরিদাস সনাতন । তত্ত্ব কহি তোমা বিযয় যৈছে মোর মন ॥ তোমাকে লাল্য মানি আপনাকে লালক অভিমান । লালকের লাল্য নহে দোষ-পরিজ্ঞান ॥ আপনাকে হয় মোর অমান্ত সমান। তোমা সভাকে করে মুঞি বালক-অভিমান ॥ মাতার যৈছে বালকের অমেধ্য লাগে গায় । ঘৃণা নাহি উপজয় আরো সুখ পায় ॥ লাল্যামেধ্য লালকে চনদন-সম ভায় । সনাতনের ক্লেদে আমার ঘৃণা না জন্মায় ॥ হরিদাস কহে তুমি ঈশ্বর দয়াময়। তোমার গম্ভীর হৃদয় বুঝন না যায় ॥ বামুদেব গলৎকুণ্ঠ-অঙ্গে কীড়াময় (১)। তারে আলিঙ্গন কৈলে হইয়া সদয় ॥ আলিঙ্গিয়া কৈলে তারে কন্দপ-সম অঙ্গ । কে বুঝিতে পারে তোমার কৃপার তরঙ্গ ॥ প্রভু কহে বৈষ্ণবের দেহ প্রাকৃত কতু নয়। অপ্রাকৃত দেহ ভক্তের চিদানন্দময় ॥ । দীক্ষাকালে ভক্ত করে আত্ম-সমৰ্পণ। সেই কালে কৃষ্ণ তারে করে আত্মসম । সেই দেহ তার করে চিদানন্দময়। অপ্রাকৃত দেহে তার চরণ ভজয় ॥ সনাতনের দেহে কৃষ্ণ কণ্ড উপজাঞী। অামা পরীক্ষিতে ইহা দিল পঠাইয়া ॥ (১) কুমিপুর্ণ। स्तक
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।