পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান—চৈতন্য-চরিতামৃত—১৬০৬-১৬১৫ খৃঃ। ১২২৯ যে কিছু কহিল এই দিগদরশন। এই অনুসারে হবে আর আস্বাদন ॥ প্রভুর গম্ভীর-লীলা না পারি বুঝিতে । বুদ্ধি-প্রবেশ নাহি তাতে না পারি বর্ণিতে ॥ সব শ্রোতা বৈষ্ণবের বন্দিয়া চরণ। চৈতন্ত্য-চরিত বর্ণন কৈল সমাপন ॥ আকাশ অনন্ত তাতে যৈছে পক্ষিগণ । যার যত শক্তি তাতে করে আরোহণ ॥ ঐছে মহাপ্রভুর লীলা নাহি ওর পার। জীব হঞা কেবা সম্যক্ পারে বর্ণিবার ॥ যাবৎ বুদ্ধির গতি তাবৎ বর্ণিল। সমুদ্রের মধ্যে যেন এক কণ ছুইল । নিত্যানন্দ-কৃপাপাত্র বৃন্দাবন দাস। চৈতন্ত্য-লীলার তেহে হয় আদি ব্যাস ॥ তার আগে যদ্যপি সব লীলার ভাণ্ডার । তথাপি অল্প বৰ্ণিয়া ছাড়িলেন অণর ॥ - যে কিছু বর্ণিল সেহে সজেপ করিয়া । লিখিতে না পারি গ্রন্থে রাখিয়াছে লিখিয়া ॥ চৈতন্ত-মঙ্গলে তেহে লিখিয়াছে স্থানে স্থানে। সেই বচন শুন সেই পরম প্রমাণে ॥ সংক্ষেপে কহিল বিস্তার না যায় কথনে । বিস্তারিয়া বেদব্যাস করিব বর্ণনে ॥ চৈতন্য-লীলামৃত-সিন্ধু দুগ্ধান্ধি-সমান। তৃষ্ণানুরূপ ঝারী ভরি তেঁহো কৈল পান ॥ তার ঝারী-শেষামৃত কিছু মোরে দিলা। ততেকে ভরিল পেট তৃষ্ণ মোর গেলা ॥ আমি অতি ক্ষুদ্র জীব পক্ষী রাঙ্গ টুনী। সে যৈছে তৃষ্ণায় পীয়ে সমুদ্রের পানী ॥ তৈছে আমি এক কণ ছু ইল লীলার। এই দৃষ্টান্তে জানিহ প্রভুর লীলার বিস্তার ॥ আমি লিখি এহো মিথ্যা করি অভিমান । আমার শরীর কাষ্ঠ-পুতলী সমান।