বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান—কৃষ্ণদাসের ভক্তমাল—১৭শ শতাব্দী। ১২৩১ যমুনার তীরে ঘর নিয়ত যমুনা। স্নানাদি করে সদা সন্ধ্যাদি বন্দন ॥ হস্তী যে বৃহতি এক বৃহতি দশন । দশন উপরি করি চৌকির আসন ॥ জলে দাড় করাইয় তাহাতে বসিয়া । দেবী-পূজা করে এক বড়াই করিয়া । রক্তচন্দনের পঙ্ক সৰ্ব্বাঙ্গে লেপিয়া । সদা ভৈরবের প্রায় আকার হইয়া ॥ রক্তচন্দন জবা পুষ্প তাম্র শঙ্খে । পূজয়ে বসিয়া করি-দন্ত-পরিষঙ্কে (১) ॥ দ্বিতীয় বিবাহ কৈল তার শুন কথা । বৈষ্ণবী-ভাৰ্য্যা বিধির ঘটনা এক আশ্চৰ্য্য বারত ॥ ভাৰ্য্যার সুকুতি বড় পূর্বের আছিল। কিম্বা হঠাৎকার কোন সাধু কৃপা কৈল বিবাহ করিল এক বৈষ্ণবের কন্ত । বাপ-ঘরে থাকি দীক্ষা করি হৈল ধন্ত ॥ ঐআচাৰ্য্য প্রভুর ঘরের হয় শিষ্য। ভক্তিমতে জ্ঞানবান দৃঢ় মুরহস্ত । লিখন-পঠন জানে গ্রন্থের বিচার । সুন্দর ভকতি-মতে বোধ-অধিকার ॥ সদাচার-রত সাধু-সঙ্গ-অভিলাষ। স্বশুর-গৃহে ভীতি৷ সদাই শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্রে মনের বিলাস ॥ বিবাহের পরে যবে নব-বধবাগমনে । ব্যবহার-মতে আইল স্বামীর ভবনে ॥ আসিয়া দেখয়ে সব বিপৰ্য্যয় ভাব । তমোগুণময় মাত্র প্রচণ্ড স্বভাব ॥ রক্তচন্দন অঙ্গে জবাপুষ্প-মাল। দুম দুম করি চলে দেখিতে করাল ॥ কাটা ছেড়া মদ্য মাংস সদা ব্যবহার। যোগিনী-চক্রেতেবসি করয়ে আহার ॥ (১) পরিযন্ধ = পর্যাঙ্ক।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।