১২৩৪ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । স্বামীর ক্ৰোধ । স্বামী তার শুনি বহু ভৎসনা করয়। তুঞি মোর গুরু হইলি কহিয়া কহয় ৷ তথাচ নাহিক চুকে পুনঃ পুনঃ কহে। নাহি শুনে ভাৰ্য্যা মুখ হেট করি রহে ॥ বৈষ্ণব-প্রভাৰ । কিন্তু কৃষ্ণ-ভক্তের দেখহ কিবা গুণ । ক্রমে ক্রমে তাহার কিছু তমঃ হৈল নুন। স্ত্রীর ভজন-রীতি-চরিত্র দেখিয়া। মনেতে প্রশংসা করে দ্রবীভূত হৈয়া । কতেক দিবস পরে পুত্রটা মরিল। শোকেতে আকুল হয়ে কাতর হইল। শোঙ্কে সাম্বল । স্ত্রী কহে কান্দ কেন কি করিবে আর। শ্ৰীকৃষ্ণ-বিমুখ যেই অই গতি তার ॥ শোক রোগ জন্ম মৃত্যু সদাই তাহার। কৃষ্ণের কিঙ্কর সে ভব-নদী পার ॥ দুঃখের সময় বিনা যথার্থ না বুঝে। কৃষ্ণে নাহি লয় মন শুনিলে না রিঝে (১) ॥ তখন ভৰ্ত্তা ত কিছু চিত্ত নিরমিল। স্ত্রীর বচন কিছু মনে বিচারিল। তবে কহে তুমি অনুযোগ যে করহ। তোমার মনস্থ কিবা কি করিতে কহ ॥ তেহ কহে কৃষ্ণ-পদ আশ্রয় করহ । নতুবা সকল ব্যর্থ অনর্থাদি দেহ ॥ ভায্য কহে একাশ্ৰয় করিয়াছি আমি । স্ত্রী কহে মৰ্ম্ম তার নাহি জান তুমি ৷ গণেশ পৰ্ব্বতী শিব ব্রহ্মার ভজন । বহু জন্ম কৈলে কৃষ্ণে অধিকারী হন ৷ কৃষ্ণ বিনা সংসার-তারণে কার শক্তি । কদাচ না হয় ইহা সৰ্ব্বশাস্ত্রে উক্তি ॥ অতএব হরি ভজ সৰ্ব্বসিদ্ধ হবে। দেবী ত তাহাতে অতি সন্তোষ হইবে ॥ ভায়্যা কহে ভাল তবে বিচার করিয়া। কর্তব্য যে হয় তাহ করিব বুৰিয়া।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।