বৈষ্ণব-চরিত্যখ্যান—নরোত্তম বিলাস–১৬১৪-১৬২৫ খৃঃ । XՀ8ծ রাজা দণ্ডকৰ্ত্ত যাতে ঈশ্বরের অংশ। নহিলে হইবে বহু বিপ্র-জাতি-ধ্বংস ॥ গুনি রাজা নরসিংহ করিলা গমন । চলিলা রাজার সঙ্গে রূপ-নারায়ণ ॥ অধ্যাপকগণ বহু পুস্তক লইয়া । মহাদপ করি চলে উল্লসিত হৈয়া ॥ - খেতরি নিকট গ্রাম কুমরপুরেতে। বিচার করিতে ইচ্ছুক। তথা আইলেন রাজা বহুলোক সাথে ॥ . . . . . . এথা রাজ-গমন শুনিয়া মহাশয়। রামচন্দ্র (১) প্রতি অতি ধীরে ধীরে কয় ॥ করিতে হইবে চর্চা অধ্যাপক-সনে । হইব ভজন-বাদ বিচারিনু মনে । শ্ৰীমহাশয়ের (২) ঐছে বচন শুনিঞা। রামচন্দ্র কবিরাজ কহেন হাসিয়া ॥ অনায়াসে দর্প-চুর্ণ হবে তা সবার। পশ্চাৎ পড়িব আসি চরণে তোমার ॥ কুমরপুরে জাগমন। এত কহি রামচন্দ্র গঙ্গানারায়ণ (৩) । চলয়ে কুমরপুর গ্রামে দুইজন ৷ কুমার বারুই দোহে হইলেন পথে। কেহ পাণ কেহ হাড়ী লইলেন মাথে ॥ কুমরপুরেতে প্রবেশিয়া বিক্রী-স্থানে। দোকান পাতিয়া বসিলেন দুই জনে ॥ এথা এক পড়ুয়া আইল পাণ লৈতে। র্তেই মূল্য পুছে ঞিহ (৪) কহে সংস্কৃতে ॥ ছদ্মবেশী বাল্পই ও ইউী-বিক্ৰেত । (১) সুপ্রসিদ্ধ চিরঞ্জীব সেনের পুত্র ও শ্ৰীখণ্ডবাসী। রামচন্দ্র কবিরাজ সংস্কৃত-শাস্ত্রে ব্যুৎপন্ন ও প্রধান কবি ছিলেন। ইহার কনিষ্ঠ সহোদর গোবিন্দদাস, চণ্ডীদাস ও বিদ্যাপতির পরবর্তী বৈষ্ণব-কবিগণের মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ। রামচন্দ্র কবিরাজ নরোত্তম ঠাকুরের প্রিয়তম বন্ধু ছিলেন। (২) “শ্ৰীমহাশয় বা ঠাকুর মহাশয় বলিলে বৈষ্ণবগণ নরোত্তৰ দাসকে বুঝিয়া থাকেন। (৩) গঙ্গানারায়ণ চক্ৰবৰ্ত্তী, নরোত্তম ঠাকুরের শিষ্য। (s) ইহ=ইনি ; রামচন্দ্র ও গঙ্গানারায়ণ উভয়ের মধ্যে একজন। 3 &
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।