১২৭০ দূতের সংবাদ ।
- *
চৈতন্ত পার্ষদগণ-দর্শন । বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । বসিলেন দুইজন যুক্তি করি সুস্থ মন প্রেমদাস বসি দেখে রঙ্গ ৷ হেন বেলা দ্বারী গেল রাজ-সন্নিধান । কৃতাঞ্জলি দাণ্ডাইয়া কহে সাবধান। শুন দেবরাজধানী হৈতে এক চর। দ্বারের নিকটে আসি হৈল সত্বর। তারে মোর পাশে আন নৃপতি কহিল। দ্বারা যাঞ শীঘ্র তাহে পুনঃ লঞা আইল ৷ দ্বারী বলে এই এহেঁ রাজধানী-চর । রাজা বলে কহ সবাইর সমাচার। চর বলে নরদেব কর অবধান । লক্ষ লক্ষ লোক আইল চিত্রোৎপলা-স্থান ৷ সে সব মনুষ্য কিবা শক্রর সেনানী । কিবা তীর্থযাত্রিক নির্ণয় নাহি জানি ৷ সত্বরে আইনু আমি শুনি কোলাহল । তা সভার তত্ত্ব বুঝ হইয়া সত্বর ॥ ভট্ট কহে তীৰ্থক সে জানিল রহস্ত। অন্যথা পূৰ্ব্বেই বার্তা পাইল অবশু ॥ তাথে আমি অনুমান করি যুক্তি বল। শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত-প্রিয়-পর্ষদ সকল । ভাল হৈল আইলা চৈতন্ত-ভক্তগণ । তোমার সহিত গোষ্ঠী হইব শোভন ॥ হোথা যত ভক্তগণ নরেন্দ্রের তীরে । হরিধ্বনি কোলাহল করে উচ্চৈঃস্বরে। মেঘাগমারস্তে যেন চাতক সকল । দ্বিগুণ করয়ে ধ্বনি উৎসাহ-অন্তর ॥ তৈছে কৃষ্ণ নিকট হইল সভে জানি। মহানন্দে উচ্চৈঃস্বরে করে হরিধ্বনি ৷ সাৰ্ব্বভৌম বলে রাজা করি নিবেদন। শীঘ্ৰ তুমি কর অট্টালিকা আরোহণ ॥ মহাভাগবতগণ চৈতন্ত্য-পার্ষদ। বহুভাগো ঘটে রাজা দৰ্শন-সম্পদ ॥