বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান—আনন্দ দাসের জগদীশ-চরিত—১৮১৫ খৃঃ । ১২৭৯ শ্রীজগদীশের ভক্ত হইব যে জন । অবশু এ গ্রন্থ তিহেঁ করিব গ্রহণ ॥ অন্তে কি বুঝিল এই গ্রন্থ-বিবরণ। সে বুঝিব জগদীশ যার প্রাণ ধন ৷ সব দেবতার আদি পুরুষ পুরাণ । এই ত বিশ্বের হও পরলয়-স্থান ॥ তুমি জগতের ধাত বেছ বস্তু এক । তুমি সে কারণ মূৰ্ত্তি হও পরতেক । তুমি এক এই বিশ্ব করিলে ব্যাপিত। অনন্ত স্বরূপধারী নহুেত প্রতীত ॥ বায়ু যম অনল বরুণ নিশাপতি। ব্ৰহ্মার তাতের তাত কে বুঝিবে গত্তি । নম নম মহাপ্রভু নম বার বার। সহস্ৰ সহস্ৰ পুন পুন নমস্কার । অপ্রমেয় শক্তি কেহ পরিমিতে নাৱে । সৰ্ব্বভূতে রহ তুমি ভিতরে বাহিরে। স্বর্ণ এক নানারূপ গঠনের ভেদ । তুমি সৰ্ব্বরূপ সেই মত কহে বেদ । কৃপা কর গোরাচাদ করুণার সিন্ধু। অত্যন্ত পামর আমি অধম-তারণ তুমি দীন-হীন-অকিঞ্চন-বন্ধু ॥ আমি পাপী দুরাশয় মোর মন স্থির নয় বিষয়ে ব্যাকুল দিলা রাতি। ভক্তি-হীন মহাদীন ভজন সাধন হীন তাহে মোর প্রাণ ভীত অতি ॥ নহি আমি কৰ্ভু কৃতী নাহিক মোর সুকৃতি তাহে আমি নহি শাস্ত্র-প্রাজ্ঞ । কু-বিষয়ী নিরবধি কতু আমি নহি স্বধী নহি আমি হই ধৰ্ম্মাভিজ্ঞ ॥ মোর সম পাপময় ত্ৰিভুবনে কেহ নয় তাহে সম্ভে করেন উপেক্ষা । ভগবানের স্তোত্র ।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।