যদুনন্দন দাসের কৃষ্ণকর্ণামৃত । মালিহাটী-নিবাসী বৈদ্যবংশীয় যদুনন্দন দাস ১৫৩৭ খৃঃ অব্দে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের ৩০৪ এবং ৩৭৮ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য। গ্রন্থকারের ভূমিকা ও বিল্বমঙ্গলের উপাখ্যান । কৃষ্ণকর্ণামৃত গ্রন্থ অতি মনোহর । যাহা আস্বাদিলা প্রভু শচীর কোঙর ॥ রায় রামানন্দের সনে বিছানগরে। আস্বদিলা কর্ণামৃত (১) অতি মনোহরে ॥ শ্ৰীলীলাগুকের বাণী সমুদ্র-গম্ভীর। সম্যক জানিএ ভাব যাহার সুধীর । আছোপান্ত কৃষ্ণ-কেলি মাধুরী বর্ষয়। কৃষ্ণের সৌন্দৰ্য্য-রসে সৰ্ব্ব রসময় ॥ শ্ৰীকৃষ্ণদাস কবিরাজ ভাবে মগ্ন হৈয়। টীকা লিখিলেন অতি সুন্দর করিয়া ॥ আমি ক্ষুদ্র অতি তার কিবা অর্থ জানি। তাহাই লিখিএ সাধু-মুখে যেই শুনি ॥ ঠাকুর বৈষ্ণব পাএ প্রণতি আমার । কলিযুগে উদ্ধারিলা বহু জ্বরাচার ॥ তোমার চরণে যেন নহে অপরাধ । নিজ-গুণে এই মোরে করিবে প্রসাদ ॥ ভাবে মগ্ন লীলাণ্ডক দুই রূপে স্থিতি। অন্তৰ্দ্দশা বাহদশ এক শ্লোক-প্রতি ॥ বাহ-দশার অর্থ আমি না লিখিব হেথা। যথামতে লিখি তার অন্তৰ্দ্দশার কথা ॥, এই লীলাগুকের কথা শুন সাবধানে। স্বাতে ভাব জানা যায় কৃষ্ণের ভজনে ॥ কবীন্দ্র বিল্বমঙ্গল । _ T--— (১) “চণ্ডিদাস বিদ্যাপতি রায়ের নাটক গীতি * . . . . কর্ণামৃত শ্ৰীগীতগোবিন্দ। স্বরূপ রামানন্দ সনে মহাপ্রভূ রাত্রি দিনে গায় শুনে পরম আনন্দ "–চৈতন্ত-চরিতামৃত |
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।