বিবিধ অনুবাদ—কৃষ্ণকর্ণামৃত—১৬শ শতাব্দী। ১২৮৭ হাহাকার করে বেশু বহু খেদ কৈল। শুশ্ৰষা করিয়া তাবে সুস্থ করাইল ॥ তবে আগমন-কথা বিবরি পুছিল। যেন যেন রূপে সে নদী পার হৈল। বৃত্তান্ত শুনিঞা বেঙ্গা কঁাপিতে কঁাপিতে। অতিশয় দুঃখী হই লাগিলা কহিতে ॥ শাস্ত্র জানি মূর্থ কেহ নাহি তোমা বিনে। কি রস লাগিয়া তুমি বধহ পরাণে । হায় হায় ধিক্ ধিক্ হউক আমারে। মহাপাপীয়সী আমি জানিল অন্তরে । নানান কপট ভাবে পুরুষ বঞ্চিয়। মন ধন হরিনাম তারে প্রতারিয়া ॥ এমন আসক্তি যদি জন্মে কৃষ্ণ লাগি । তবে কিবা লাভ নহে কৃষ্ণ-অনুরাগী। কালি আমি প্রাতঃকালে সকল ছাড়িয়া । ভজিব কৃষ্ণের পায় একান্ত হইয়া। এইরূপে সেই রাত্রি সখীগণ লইয়া। তাহার শুশ্ৰষা করে নিৰ্ব্বেদ হইয়া ॥ শ্ৰীকৃষ্ণ শ্রীরাধা-সঙ্গে রাস-কুঞ্জলীলা। গান করে সখী-সঙ্গে হৈয়া এক মেলা ॥ তার বাক্য শুনি লীলাণ্ডক মহাশয়। মনে মনে ইঃখ ভাবে আপন ভৎসয় ॥ মনে কৈলা কালি প্রাতে এ সব ছাড়িয়া। ভক্তির বিকাশ । ভজিব শ্ৰীকৃষ্ণ-পদ এই মত হইয়া । নিদ্রা নাহি হয় সদা চিন্তিত অন্তর। রাধাকৃষ্ণ-লীলা-গীত শুনিঞা বিস্তর। সে লীলা-শ্রবণমাত্র মায়াবন্ধ গেল। পূৰ্ব্বসিদ্ধ প্রেমাঙ্কুর তবহি জন্মিল ৷ সেই রাধাকান্ত মোর জাতি কুল প্রাণ। তারে ছাড়ি কিবা মুঞে করে অনুষ্ঠান ॥ এত বিচারিতে তেহে পোহাইল রাতি। প্রাতে উঠি বেঙ্গ পায় কৈলা স্তুতি-স্থতি ।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।