سياسراج ج লীলাশুক নাম । বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । সেই পথে চলি গেলা সেই নদী তীরে । বৈষ্ণব আছেন যথা সোম-গিরিবরে ॥ আপন বৃত্তান্ত তারে কহিলা সকল। উপাসনা কৈলা শ্ৰীগোপাল মন্ত্রবর ॥ সে মন্ত্ৰ লইতে মাত্র কি কহিব আর । অতি অনুরাগ হৈল উদয় সঞ্চার ॥ শ্ৰীশ্ৰীকৃষ্ণ সত্য আর সব মিথ্যা। স্তম্ভ-কম্প পুলকাশ আদি ভাবগণ। ব্যাকুল হইল অঙ্গ না যায় ধরণ ॥ যদ্যপিহ বৃন্দাবন যাইতে উৎকণ্ঠ অতি। গুরু-সেবা লাগি কথো দিন কৈল স্থিতি ॥ কৃষ্ণলীলা-বর্ণনাদি বহু গ্রন্থ কৈলা । তাহা দেখি গুরু লীলাশুক নাম খুইলা ॥ কুটুম্বের উপরোধ বারণ লাগিয়া। সন্ন্যাস করি স্বত্রত্যাগী যে লাগিয়া ॥ তবে অতি উৎকণ্ঠ বাঢ়ি গেল মনে। বিনয় করিঞ আজ্ঞা নিলা গুরু-স্থানে ॥ বৃন্দাবন যাইতে যাত্র প্রভাত করিলা । পথেতে যাইতে আগে কৃষ্ণ-স্ফূৰ্ত্তি হৈলা । তাথে হৈতে উছলিল অতি প্রেম-পুর। উৎকণ্ঠ-কল্লোল তেঞি পড়িল প্রচুর। তাতে পড়ি শূন্ত্য-প্রায় আপনাকে মানে। বিশেষিয়া লীলা-স্ফূৰ্ত্তি করেন প্রার্থনে। এইরূপে আইলা তেহো মথুরা-নগরে। অধিক কৃষ্ণের লীলা-স্ফূৰ্ত্তি সেই স্থলে। অনুরাগ-সিন্ধু তাথে হৈতে উছলিলা । লালসা-আবৃত সৰ্ব্ব চিত্ত গ্রাস কৈলা ॥ কৃষ্ণের দর্শন লাগি করেন প্রার্থনা। মথুরা ভিতরে গেল লয়্যা কথো জনা ॥ সাক্ষাৎ কৃষ্ণের স্ফূৰ্ত্তি মানিলেন তথা । তবে বৃন্দাবন গেলা হইয়া উৎকণ্ঠিত ॥ সাক্ষাৎ দেখিল তাহা ব্রজেন্দ্র-নন্দন । মনোবাক্যে অগোচর করে আবর্ণন ॥
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।