বিবিধ অনুবাদ–গোবিন্দ-লীলামৃত—১৬শ শতাব্দী। । సెసి অঙ্গন-হৃদয়ে যেই করে পরবেশ । পুনঃ নাহি বাহিরায় ছাড়ি হৃষিকেশ ৷ যে চুড়ার ছায়া দেখি নয়নে শ্ৰীকৃষ্ণ । ভ্রমণ করয়ে হঞ নয়ন সতৃষ্ণ ॥ আশ্চৰ্য্য কৃষ্ণের এই চুড়ার বিলাস। দিয়া নিজ রুচি করে জগত-উল্লাস ॥ কুকুম-তিলক দিল ললাটে স্ব-মোমে। পূর্ণশশী-প্রায় করে ললিত রচনে ॥ মধ্যে মৃগমদ-বিন্দু অতি মনোরম। সুগন্ধ ও চিত্র বিচিত্ৰ । চৌদিগে চন্দন-বিন্দু করিল ঘটন। ললন-হৃদয় যেন খণ্ডন করিতে। কন্দপের স্বর্ণ-চক্র কৈল উপনীতে ॥ কৃষ্ণ-সৰ্ব্ব-অঙ্গে চিত্র কুকুম-রচিত। চিত্র-বেশে শীত কৈল সৰ্ব্বাঙ্গ চর্চিত ॥ লাবণ্যের উৰ্ম্মি যেন বিজুরী ঝলকে। রাসে কৃষ্ণ-গোপী যেন এক হয়ে থাকে ॥ নব ঘন জিনি তনু চিত্রাচিত্র করে। মিত্ৰ-গাত্রে চিত্র খেলে অতি মনোহরে ৷ নানান সুগন্ধি-পুষ্পগণের ভূষণে । পুষ্প-ৰেশ। পুষ্পের কলিকা পুষ্পদল আদি গণে ॥ পুষ্পের কুণ্ডল আর কঙ্কণ-মঞ্জরী। কিঙ্কিণী অঙ্গদ আদি মণ্ডন শবরী ॥ যত আভরণ দিয়া বেশ কৈল অঙ্গে । সে হইল কন্দপ-পাশ মৃগী-দৃষ্টি বন্ধে। তবেত রাধিকা-কান্ত পটাবৃত হঞা। পুষ্প-আভরণ-বেশ কৈল মুখ পায়া ॥ সখীগণ অন্ত্যোহন্তে বেশ সব কৈল। সেবাপরী সর্থীগণ সব সমাধিল ৷ তবে বৃন্দা দেবী তারে সম্যক কুট্টিমে। দেখায় অনেক ফণা সামগ্রীর গণে ॥ পলাশের পত্র আর শাল-পত্ৰগণ । ৱন্ত-পত্ৰ বকুলাদি অতি মনোরম ৷
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।