পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ অনুবাদ–আলাওলের পদ্মাবৎ—১৬১৮ খুঃ। లి)కి অন্ধকার দূরে গেল কিরণ উজ্জল । সকল জগৎ আজি দেখ নিরমল ৷ সমুখে মেঘের প্রায় দেখিতে অদ্ভুত। আকাশে লাগিছে যেন সুন্দর বিপ্ল্যং ॥ তাহার উপরে যেন চন্দ্রম-প্রকাশ । সন্ধি-যোগে রাহু যেন করিল গরাস ॥ আর যে নক্ষত্র-কুল দেখিল সমীপ । স্থানে স্থানে উজ্জল করিছে যেন দীপ ॥ দক্ষিণ দিগেতে দেখি কাঞ্চনের মেরু অকালে বসন্ত যেন হয়েছে মুচারু ॥ শুক বলে শুন ৰূপ ভাগ্য অখণ্ডিত । সাহসে জিনিলা তুমি বিক্রম-আদিত্য ৷ গোপীচন্দ্র-নৃপতি জিনিলা তুমি যোগে । সত্যে হরিশ্চন্দ্র নহে তোমার সংযোগে ৷ গোরক্ষে আসিয়া তোমা সিদ্ধি দিল হাতে । তোমারে না পারে জ্ঞানে মুচকনদ-নাথে ॥ প্রেমেতে জিনিলা তুমি পৃথিবী আকাশ । এহি দেখ সমুখে সিংহল স্থপ্রকাশ ৷ মেঘবর্ণ গড় দেখ লাগিছে আকাশে । সুবৰ্ণ-কামড়া যেন বিদ্যুৎ প্রকাশে ॥ আর যত উজ্জ্বল নক্ষত্র হেন লক্ষি । রাজপন্থে গৃহ সব ঠাঞি ঠাঞি দেখি ৷ ঐ যে দেখহ শশী নক্ষত্র-বেষ্টিত । নৃপতির গৃহ সব রতনে জড়িত। তার মধ্যে দেখ পদ্মাবতীর আবাস । সমীর-সঞ্চার নাহি পক্ষীর প্রকাশ ৷ এক উপদেশ তোমা কহি সারযোগ। আগে দরশন-লোভ পাছে প্রাপ্তি-ভোগ ৷ ওই যে কাঞ্চন-মেরু দেখহ দক্ষিণে । মহাদেব-মণ্ডপ আছয়ে সেই স্থানে। মাঘমাসে হৈলে শ্রীপঞ্চমী-সংযোগ। সেই স্থানে পূজিতে আসিবে সৰ্ব্বলোক ।