లిరిe বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । তুমি সে অক্ষয় বিভু ব্ৰহ্ম নৈরাকার। যাত হস্তে হবে স্বষ্টি পালন সংহার ॥ সবারে কারণ মায়া যত জগতর। মায়ার কারণ যাক বুলিয়ে ঈশ্বর। এহি শরীরতে আছে সমস্ত জগত । ইতো বলবীৰ্য্য প্রভাবর নাহি অন্ত৷ তব মুখে অগ্নি শশী স্থৰ্য্যে করে তাপ । শরীরের তেজে জগতের খণ্ডে পাপ ॥ অদ্ভুত রূপক ধরিলা নারায়ণ । কম্পন্তে আছয় দেখো এ চৌদ্দ ভুবন । আকাশক সীমা করি মধ্য পৃথিবীর । দশো দিগে ঢাকিলেক তোমার শরীর ॥ ব্ৰহ্মা মহেশ্বর আদি যত দেবগণ । দূরে থাকি তব পদে লইলন্ত শরণ। গন্ধৰ্ব্ব চারণ বিদ্যাধর বস্তু যত। ঘোররূপ দেখি ভয়ে শ্রুতি ভৈলা হত ॥ ইতো বিসদৃশ রূপ চাহন না যায়। যে হেন স্থৰ্য্যক কৌটি রাহু ধায়া যায়। নয়ান বয়ান উরু বদন বিস্তার। মহা প্রলয়র যেন রুদ্র-অবতার ॥ সমস্তে ব্যাপিয়া অঙ্গে বাহু নেত্ৰ কাণ । ধরিতে না পারো ধৈর্য্য ভৈল গত-প্রাণ ॥ বিকৃত করাল দন্ত অতি ভয়ঙ্কর। সাগর সমান অতি বাদন মুখর। লহ লহ জিহবা অতি ভয়ঙ্কর ঘোর। ভয়ত কম্পিত চিত্ত স্থির নহে মোর ॥ মুখকো ন লভো না দেখে দিশ-পাশ। প্রসন্ন হৈয়োক বাপ জগত-নিবাস ॥ (১) 臺 豪 泰 豪 (১) আমি মুখ পাইতেছি না, দিকৃপাশ দেখিতেছি না (অর্থাৎ দিকৃভুল হইতেছে), হে জগদাশ্রয়, তুমি প্রসন্ন হও ।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।