বিবিধ অনুবাদ—বৃহন্নারদীয় পুরাণ–১৬৬৯ খৃঃ। অৰ্জুনে দেখন্ত দুয়ো (১) সেনা নিরন্তর। আপুনি প্রবেশে সবে গর্ভের ভিতর। ঘোর উগ্ররূপ দন্ত করাল-বদন । গ্রাসিবাক খোজে যেন এ চোঁদ ভূবন। লহ লহ জিহবাক দেখন্তে লাগে ভয় । বিস্ময় অর্জুন ত্রাসে কম্পয় হৃদয় ॥ পুনঃ দণ্ডবতে পড়ি বোলে ধনঞ্জয়। প্রসন্ন হুয়োক বাপ দেব দয়াময় ॥ দেবাইয়ের বৃহন্নারদীয় পুরাণ। রচনা-কাল—১৬৬৯ 청: II বৃহন্নারদীয় পুরাণের এই অনুবাদ ত্রিপুরেশ্বরের আদেশে দেবাই নামক পণ্ডিত-কর্তৃক ত্রিপুরার রাজকীয় যন্ত্রে মুদ্রিত হইয়াছে। “এক নব বাণ চন্দ্র শাক পরিমাণে । কাৰ্ত্তিক মাসের পঞ্চ দিন অবসানে ॥ সেই দিনে সভা-মধ্যে বসে মহারাজে। করিলা ধৰ্ম্মের চিন্তা ধৰ্ম্মের সমাজে ॥ শ্ৰীশ্ৰীযুত গোবিন্দ-মাণিক্য নরপতি । পুরাণের অর্থ-ভাষা কৈল মহামতি।” এক (১) নব (৯) বাণ (৫) চন্দ্র (১)—“অঙ্কস্ত বামাগতিঃ” এই নিয়মে দেখা যায় ১৫৯১ শকে কাৰ্ত্তিক মাসের ৫ই তারিখ রাত্রিতে গ্ৰন্থরচনার আদেশ হইয়াছিল। সুতরাং গ্রন্থখানা প্রায় ২৫০ শত বৎসর কাল পূৰ্ব্বে রচিত হইয়াছে। “মহারাজ কল্যাণ-মাণিক্য মহীপাল। ত্রিপুর-কুলেতে সে যে ধৰ্ম্মঅবতার ॥ সৎকীৰ্ত্তি এ রাজার ব্যাপিছে দিগন্তর। দানে কল্পতরু রাজা বিষ্ণু-সমোসর। মহাধৰ্ম্মশীল তান তনয়-প্রধান। শ্ৰীশ্ৰীযুত গোবিন্দমাণিক্য পুণ্যবান। পরম ধাৰ্ম্মিক রাজা দানে কল্পতরু। বিষ্ণুতে ভকতি তান অতিশয় গুরু। পুরাণের অর্থ লোকে না বুঝে কারণ। তাহার নিমিত্তে রাজা চিন্তিলেক মন ॥ বৃহন্নারদীয় নাম পুরাণের সার। ভাষা-পদবনে রাজা করিল প্রচার ॥ পাঁচালী-প্রবন্ধ করি পুস্তক রচিল। (১) উভয়=কুরু ও পাণ্ডব। ృరిలీ)
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।