বিবিধ—রায়-মঙ্গল—১৬৮৬-১৬৮৭ খ্রঃ । প্রদীপ-অনল-তাপে যাহার শরীর ভাপে সে কেমনে সেবিব আগুন ॥ বিষম ধূমে অন্ধ প্রবেশিলা নাসা-রন্ধ সজল হইল আখির তারা। ভণএ ফকীর রামে সৰ্ব্বাঙ্গ ভিজিল ঘামে বুক মুখ বায়্যা পড়ে ধারা ॥ কৃষ্ণরামের রায়-মঙ্গল । ‘রায়-মঙ্গলের রচনা-কাল ১৬৮৬–১৬৮৭ খৃষ্টাব্দ। কৃষ্ণরাম কায়স্থ ছিলেন। ইহার পিতার নাম ভগবতী দাস ; নিবাস নিমত গ্রাম। : ইনিই সৰ্ব্বপ্রথম বিদ্যাসুন্দর রচনা করেন বলিয়া প্রাণারাম নামক জনৈক কবি লিখিয়াছেন। বিশেষ বিবরণ “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে’র ১১৩ ও ৫৮৭ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। ব্যাস্ত্রের দেবতা দক্ষিণরায়ের সঙ্গে গাজীর যুদ্ধ। বড় খা গাজি সমরে সাজি আইলা অনেক বাঘ । শমনের অবতার গমনে অনিবার পবনে না পায় লাগ ৷ বলাণ্ডা-বনিয়া যে ছিল চনিয়া আইল পাই ঘাটিয়ার। (১) ' বড় খা বলবান না গেলে অপমান রক্ষা বা আছে কার ॥ মেদল মল্লে বাঘেরা সকলে সাজিয়া চলিল আগে । বরিদ (২) হাচীম যদা তাহাতে যে যদা ডাকিতে বড় ভয় লাগে। (৩) (১) অর্থ ভাল বুঝা যায় না। সম্ভবতঃ বালাগুবিন ও চনার ( শস্ত-বিশেষের ) ক্ষেতে যে সকল বাঘ ছিল, তাহার আহবান পাইয়া যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হইল । (২) সম্ভবতঃ বাঘের নাম। (৩) তাহাদের ডাক শুনিলে ভয় হয় ।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।