ులిన “ধূলাকুট্যা"র প্রতি আদেশ । “ধূলাকুটা”র আবদার। নিদ্র । দেবীর ভোজন। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । ঘৃত মধু ধূপ দীপ সুগন্ধী চন্দন। ষোড়শোপচারে মাকে পূজিল ব্রাহ্মণ। পাঠ-শালে পূর্ণিত হইল পুষ্প-ঝারা। জাগরণে ধূলাকুট্য জেগে থাকে পারা। নৈবেদ্য পূজার বিধি নানা (১) দ্রব্য-জাতে । নষ্ট হৈলে তোর মাথা কাটিব করাতে ॥ প্রাচীন উপাখ্যান কেবা নাহি জানে। মহীরাবণের মাথা কাটে পবন-নন্দনে ॥ শুনিঞা কস্তার কথা কহেন কুঙর। কেমনে জাগিব আমি থাকি একেশ্বর ॥ বসিতে পালঙ্ক দেহ পাটের মশারি । মশাল জালিয়া দেহ জাগিব সুন্দরি ॥ এত শুনি হাসে যত যুবতীর ঘট । বামন হৈয়া চান্দ ধরিতে চাহ ধূলাকুট্যা ৷ বিচিলির খাট দিল পুরাণ মশারি। রত্ন-প্রদীপ জালি দিলেন সুন্দরী ॥ দ্বারেতে কপাট দিয়া পঞ্চ কন্ত গেল । ধূলাকুট্যা পূজার বাসর জাগ্য রৈল ॥ রাত্র হৈল দুই প্রহর শুন তার পরে। যোগ-নিদ্রা কুঙর জাগিতে নাহি পারে ॥ অতেব অঙ্গুলি কাটি কৈল রক্তপাত। দ্বিগুণ অনল যেন জ্বলে উঠে হাত ॥ জলা ঘা জলনে যেমন তায় দিল মুন। ঘৃত-পাত্রে হাত যেন নিবন্ধে আগুন। এত বুদ্ধে ধূলাকুটা বস্তাছে বাসরে। তথাপিহ যোগনিদ্রা জাগিতে না পারে ॥ সেবকের পূজা নিতে দেবী সরস্বতী । নীলবস্ত্র পরিধান নিশাভাগ রাতি ॥ আনন্দে ভারতী মাতা করেন ভক্ষণ । শত উপচারে দ্রব্য নানা আয়োজন ॥ (5) নানাবিধ ।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।