రిసి 8 বিদেশে গমনোদ্যোগ । “ধূলাকুট্যা"র এই বৃত্তান্ত শ্রবণ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । লজিঘল কন্যার মন কে করিবে মান। কাঞ্চনে কাঞ্চন মিশু গেল কাচা সোণী ॥ কবুল করিল কন্যা যাব সন্ধ্যাকালে। পক্ষরাজ তরণী প্রস্তুত কর জলে ৷ জানিল কন্যার মন কোকিল-বাহিনী। বিশ্বকৰ্ম্মা ডাকিয়া পাণ দিলেন আপনি ॥ মাণিক্য-খচিত ডিঙ্গা করিবে নিৰ্ম্মাণ । পবনেতে উড়ে যেন পক্ষের সমান ॥ বিশ্বকৰ্ম্মা এত শুনি অপরাহ বেলা । উপনীত হৈল কস্তার ছত্রশাল ॥ বিশ্বকৰ্ম্মা গঠেন তবে বিচিত্র তরণী । মায়া-নদী করিলেন কোকিল-বাহিনী। তরণী বান্ধিয়া কুলে গেলেন ব্রাহ্মণ । কন্যার কথন কিছু শুন সৰ্ব্বজন ॥ হীরামুখী কেরুয়াল (১) হীরাবান্ধ্যা তরী। দেখিয়া হরষ বড় রাজার কুমারী। সারদার মায়া যত শুন সৰ্ব্বজন। তরণী বান্ধিয়া কূলে গেলেন ব্রাহ্মণ ॥ শুভ ক্ষণে যাত্রা ধনী শুন তার কথা। মনোমত মধুকর (২) মিলাইল বিধাতা। মাতা পিতা বন্দিবেকগো হয়্যা প্রদক্ষিণ । সাবধানে সুন্দরী আসিবে পঞ্চ জন ॥ ধন কড়ি আনিবে কিছু পথের সম্বল। রাত্ৰি হৈলে নৌকা-ঘাটে আসিবে সকল ॥ সত্য কর্য সীমন্তিনী সভে গেল ঘরে । ধূলাকুট্যা এ সব শুনিল অতঃপরে। বিপ্রের বচনে বস্তা করেন বিচার। কন্যা ছাড়া গেলে মোরে কে পুষিবে আর ॥ সরস্বতী বল্য শিশু ডাকে উচ্চৈঃস্বরে। প্রসাদ ভজেন দেবী কৃষ্ণের মন্দিরে ॥ (১) কেরুয়াল =বৈঠা । বৈঠার অগ্রভাগ হীরা দিয়া বাধান (২) মধুকর =নৌকা।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।