মদনমোহন-বন্দন । ষোড়শ খৃষ্টাব্দের প্রথম ভাগে বনবিষ্ণুপুরাধিপতি বীরহাম্বীর-কর্তৃক মদনমোহন স্থাপিত হন। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে এই মূৰ্ত্তি গোকুল মিত্রের চেষ্টায় কলিকাতা চিৎপুর রোডে অধিষ্ঠিত হইয়াছেন। মদনমোহন-বন্দনার ভক্তিপূর্ণ বিবরণে এই বিগ্রহ-সম্বন্ধে সমস্ত তত্ত্ব লিপিবদ্ধ আছে। গ্রন্থকারের নাম জয়কৃষ্ণ দাস। যে পুথি হইতে নিম্নলিখিত অংশ উদ্ধৃত হইল, তাহ ১২৬৭ বাং সালে লিখিত । তেমন ঠাকুর এমন হলে আর বলিব কি। অদ্যাবধি তোমার দায় দিয়া বেঁচে রয়েছি ৷ বার বৎসর বরগী (১) যখন গড় ঘেরে ছিল। কার সাধ্য তবু গড় লুটিতে নারিল ৷ একদিন যত প্রজা একত্র হইয়া । হরিবোল দিয়া রাজায় আদেশিলা (২) যায়্যা ॥ শুন শুন মহারাজ বৈসে কর কি। বর্গী তাড়াবার লেগে বলিতে এসেছি। রাজা বলে শুন ওরে যত প্রজাগণ । মোর সাধ্য নহে তাড়াবেন মদনমোহন ৷ এই কথা শুনি প্রজা বিস্ময় হইল । মদনমোহন গড় রাখিবেন মহারাজা বৈল । একদিন যত বরগী একত্র হইল। চারি ঘাট খুজি তখন যুজ (৩)-ঘাটে গেল। তালবরুজের খানায় নাম্বি যত বরগীগণ হাতীর উপরে চাপি করিলা গমন ॥ এক গোলন্দাজ তখন ছটিয়া চলিল। দক্ষিণভদ্রে যেয়ে রাজায় আদাস করিল | শুন শুন মহারাজ বৈসে কর কি। বরগী তাড়াবার লেগে বলিতে এসেছি। (১) মহারাষ্ট্র-সেনা । (২) জানাইলা । (৩) ‘যুদ্ধ' শব্দের অপভ্রংশ। মদনমোহনের গড়-রক্ষণ । o
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।