১৪২২ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । সেতারা ছাড়িয়া তবে । বিজাপুর আইলা সবে এক রাত্রি রইলা সেই খানে । রাগ-রঙ্গ হইল যত নাটুয়া নাচিল কত কটক চলিল পরদিনে ॥ গ্রাম উপবন কত লস্কর এড়াএ যত নাগপুর আসি উপনীত । সেখান ছাড়িয়া যবে লস্কর যাইলা তবে পঞ্চকোটে আসিলা ত্বরিত ৷ - ডাক দিয়া দূতকে ভাস্কর কহিল তাকে নবাব আছে কোন খানে । আজ্ঞা দিলা সেনাপতি দূত চলে শীঘ্ৰগতি নবাব আছে যেই থানে । দূত সম্বাদ লইয়া শীঘ্ৰ চলিল ধাইয়া আসিয়া কহিল তার স্থানে । বৰ্দ্ধমানে। বৰ্দ্ধমান সহরে রাণীর দীর্ঘীর পারে নবাব আছে সেই খানে ॥ দূত-মুখে শুনি কথা ভাস্কর চলিল তথা লস্কর লইয়া নিশাতে । লস্কর নিঃশব্দে যাএ কেহু নাহি জানে তায় আইলা বৈশাখ উনিশাতে। বৈশাখের উনিশা যাএ বরগী আইলা তাএ মহা আনন্দিত হৈয়া মনে । বীরভূই বামে থুইয়া গোয়াল-ভুইর কাছ হইয়া আসিয়া ঘেরিল বৰ্দ্ধমানে ৷ তবে বরগীর লস্করে চতুৰ্দ্দিগে আসি ঘিরে হরকার কেহ নাহি জানে। দুই প্রহর রাইতে হরকরা আইলা তাথে আসি কৈল রাজারাম-স্থানে। রাজারাম দূতের রজনী প্রভাত হইল রাজারাম হরকরা আইল সংবাদ । আসিয়া কহিল নবাবেরে । ইহা আমি না জানিল আচম্বিতে সৈন্ত আইল আসিয়া ঘেরিল লস্করে।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।