পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেদিনীপুরবাসী কবি মদনমোহন-রচিত। রাস্তার কবিতা । রচনা-কাল–১৮৩৬ খৃষ্টাব্দ। শুন শুন সৰ্ব্বজন এক মন হঞ । রঙ্কিনী যখন আইল জাঙ্গাল বান্ধিয়া ॥ চণ্ডাল-গড় হৈতে যেন মতে হিষ্টিনী (১) হারিল। চৈতন্ত সিংহ মহারাজা জানে সৰ্ব্বজন ॥ চলিলা তার সনেতে রণ করিতে হিষ্টনী হারিল। দেখে রঙ্গ দিল ভঙ্গ দেখ সব লুটিল। পালাল প্রাণ লইয়া সব ছাড়িয়া কলিক্কাত পহুছিল । আট কৌচলের সাহেবে মেলি রঙ্কিনী কহিল৷ যুক্তি সার করিএ হুকুম পেয়ে নিল টাকাকড়ি। সিপাই-সঙ্গে কত রঙ্গে গেল তড়াবড়ি ৷ ফের চণ্ডাল-গড়ে থানা কত জনা ধরিল বেগারি। পহিলা করি রোসী ধরি কৈল মহাজারি ॥ শঙ্কা সৰ্ব্বলোকে পূৰ্ব্বমুখে বান্ধিয়া চলিল। যেন সীতা-হেতু সাগর-সেতু শ্রীরাম বান্ধিল ৷ লঙ্কা-জয় করিতে জয়ঢাকেতে বহু বাদ্য বাজে ভাল। সিপাই-সঙ্গে কত রঙ্গে কুৰ্ত্তি লালে লাল। কেরাণী যুক্তি করে রোস ধরে কোড়া সঙ্গে লঞা। বড় বাড়ী দেখে দড়ি না পাইল গিয়া ॥ বলে রাস্ত ইধার জাগা মজুর লাগায়ে উতারিল বাড়ী। লোকে দেখে কম্প হৈল কিছু কোঁবুলে কড়ি। পাইয়া লোভ বাড়িল সব লুটিল ভাঙ্গিল কত ঘর। আস্থদ আম বকুল জাম কাটাল বহুতর ॥ * , পিয়াশীল কমলাগুড়ি বোয়ের কুড়ি আমড়া সামলা শাল। বয়ড়া আমী আর কদলী কাটিল বহু তাল।। (১) হেষ্টিংস।