কৃষ্ণচন্দ্রীয় যুগ—ভারতচন্দ্র – ১৭১২-১৭৬০ খৃঃ । >8QS) উহার ভাগ্যের বলে হইয়াছে বেটী । কারে কব এ কৌতুক বুঝিবেক কেট । বড় পুত্ৰ গজ-মুখ চারি হাতে খান। সবে গুণ সিদ্ধি খেতে বাপের সমান ॥ ভিক্ষা মাগি খুদ-কণা যে পান ঠাকুর। তাহার ইদুরে করে কাটুর কুটুর ॥ ছোট পুত্র কীৰ্ত্তিকেয় ছয় মুখে খায়। উপায়ের সীমা নাই ময়ুর উড়ায় ॥ উপযুক্ত দুটা পুত্র আপনি যেমন। সবে ঘরে আমি মাত্র এই অলক্ষণ ॥ করেতে হইল কড়া সিদ্ধি বেটে বেটে। তৈল বিনা চুলে জটা অঙ্গ গেল ফেটে । শাখা শাড়ী সিন্দুর চন্দন পাণ গুয়া। নাহি দেখি আয়তী কেবল আচাভূয়া ॥ ভারত কহিছে মাগো কত বল আর । শিবের যে তিরস্কার সেই পুরস্কার ॥ (১) শিবের ভিক্ষায় যাত্রা । ভবানীর কটু ভাষে লজ্জা হৈল কৃত্তিবাসে ক্ষুধানলে কলেবর দহে । বেলা হৈল অতিরিক্ত পিত্তে হৈল গলা তিক্ত বৃদ্ধ লোকে ক্ষুধা নাহি সহে ॥ হেট-মুখে পঞ্চানন নন্দীরে ডাকিয়া কন বৃষ আন যাইব ভিক্ষায়। আন শিঙ্গা হাড়-মাল ডমরু বাঘের ছাল বিভূতি লেপিয়া দেহ গায় ॥ আনরে ত্রিশূল বুলি প্রমথ সকলগুলি যতগুলি ধুতুরার ফল। থলি-ভরা সিদ্ধি-গুড়া লহরে ঘোটন কুঁড়া জটায় আছএ গঙ্গাজল ॥ _ (১) শিবকে মাহ বলা নিল করা যায়, তাহই জয়র প্রশন্স। অর্থাৎ তাহার দারিদ্র্য ও দৈন্তই তাহাকে ভোগের দেবতাদিগের উদ্ধে স্থান দিয়াছে।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।