কৃষ্ণচন্দ্রীয় যুগ—ভারতচন্দ্র—১৭১২-১৭৬৪ খ্রঃ । ృ8(సి রজোগুণে বিধি তার নাভি-তটে স্থান। সত্ত্বগুণে বিষ্ণুর হৃদয়ে অধিষ্ঠান ॥ তমোগুণে শিব তার ললাটে আলয়। ভাবি দেখ তমোগুণ কত উচ্চ হয়। তুমি ব্যাস রচিয়াছ আঠার পুরাণ। তথাপি এমন কহ এ বড় অজ্ঞান ৷ সকলে প্রত্যয় করি তোমার কথায় । তোমার এমন কথা এত বড় দায় ৷ এই কথা কহ যদি কাশী-মাঝে গিয়া । তবে সে হরি ভজি হরেরে ছাড়িয় ॥ (১) এত বলি শৌনকাদি নিজগণ লয়ে। বারাণসী চলিলা শিবের নাম কয়ে ॥ আজ্ঞা দিলা কৃষ্ণচন্দ্র ধরণী-ঈশ্বর। রচিলা ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর ॥ শৌনকাদি মুনির শিব-স্তোত্র। জয় শিবেশ শঙ্কর বৃষধ্বজেশ্বর মৃগাঙ্ক-শেখর দিগম্বর। জয় শ্মশান-নাটক বিষাণ-বাদক হুতাশ-ভালক মহত্তর ॥ জয় মুরারি-নাশন বৃষেশ-বাহন ভুজঙ্গ-ভূষণ জটাধর। জয় ত্রিলোক-কারক ত্রিলোক-পালক ত্রিলোক-নাশক মহেশ্বর ॥ জয় রবীন্দু-পাবক ত্রিনেত্র-ধারক খলান্ধকান্তক হতস্মর । জয় কৃতাঙ্গ-কেশব কুবের-বান্ধব ভবাজ ভৈরব পরাৎপর ॥ জয় বিষাক্ত-কণ্ঠক কৃতান্ত-বঞ্চক ত্রিশূল-ধারক হত্যধবর। (১) যদি সাধ্য থাকে, তবে কাশীতে যাইয়া এ কথা প্রচার কর । যদি কাশীতে এ কথা প্রচার করিতে পার, তবে আমরা শিবকে ছাড়িয়া হরিকে পূজা করিব।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।