বিদ্যাসুন্দর। শ্ৰীকৃষ্ণ-সম্বন্ধে ধূয়া । ওহে বিনোদ রায় ধীরে ধীরে যাও হে। অধরে মধুর হাসি বঁাশীট বাজাও হে। নব-জলধর-তনু শিখিপুচ্ছ শক্ৰধনু। পীতধড়া বিজলীতে ময়ুর নাচাও হে ॥ নয়ন-চকোর মোর দেখিয়া হয়েছে ভোর । মুখ-সুধাকর-হাসি-সুধায় বাচাও হে। নিত্য তুমি খেল যাহা নিত্য ভাল নহে তাহা । আমি যে খেলিতে কহি সে খেলা খেলাও হে ॥ তুমি যে চাহনি চাও সে চাহনি কোথা পাও। ভারত যেমত চাহে সেই মত চাও হে ॥ শিব-পূজার জন্ত হীরা রাজকুমারীকে প্রত্যহ মালা যোগাইত। সুন্দর হীরার বাড়ীতে আসিয়া মালা-গাথার ভার সে দিন নিজে লইয় ছিলেন। মালা খুব সুকৌশলে গাথার দরুন দেরি হইয়াছিল, এই জন্ত বিদ্যাকৃত ভঁৎসনা ও হীরার উত্তর। শুন লো মালিনি কি তোর রীতি । কিঞ্চিৎ হৃদয়ে না হয় ভীতি ॥ এত বেলা হৈল পূজা না করি। ক্ষুধায় তৃষ্ণায় জলিয়া মরি। বুক বাড়িয়াছে কার সোহাগে। কালি শিখাইব মায়ের আগে ॥ বুড়া হলি তবু না গেল ঠাট। রগড় হয়ে যেন ষাড়ের নাট ॥ দেখ দেখি চেয়ে কতেক বেলা । মেয়ে (১) পেয়ে বুঝি করিস্ হেলা ॥ কি করিবে তোরে আমার গালি। বাপারে বলিয়া শিখাব কালি ৷ (১) বালিকা।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।