কৃষ্ণচন্দ্রীয় যুগ—জয়নারায়ণ সেন–জন্ম ১৮শ শতাব্দীর পূর্বাৰ্দ্ধ। ১৪৯৫ একদিন বিদশার (১) নিশির প্রভাতে। তস্করের সনে দেখা আপন-দ্বারেতে ॥ নাম দিলে মণিপতি সাধুর চাকর। সাধু নাহি ঘরে তেই নারী একেশ্বর। দ্রব্য বিক্ৰী করি করি দিবস যাপয়। রাথ হার তলোয়ার যদি মনে লয় ॥ এ কহিয়া দুই দ্রব্য সমুখে রাখিল। দেখি মহারাজ মুঞি বিস্ময় হইল ॥ দৈবের অঞ্জনে লেপা গিছিল নয়ন। (২) নিতান্ত রাখিব ইহা দৃঢ় কৈল মন ॥ পণ লাগি বাদ-অনুবাদ কতো করে। পচাত্তর হাজারে এ বিষ নিলাম ঘরে ॥ ভোগ দিলাম তারে হেন ভাবিলাম মনে। (৩) না জানি যে মোরে ভোগা দিলে নারায়ণে ॥ ধন্ত ধৰ্ম্ম-অবতার কলিতে রাজন। হেন অপরাধে তন্তু রাখিছ জীবন ॥ ধৰ্ম্ম সাক্ষী করি এই কহিল বৃত্তান্ত । বুঝ এবে সন্ধানেতে যে হয় নিতান্ত ॥ কবি কহে নারায়ণ জগতের পতি। চোর হতে সাধু পুনঃ কৈল ধনপতি ॥ 豪 豪 豪 豪 সাধুর মুক্তি ও পুরস্কার। হেসে রাজা সাধু তরে করিলে প্রসাদ। খিলাত আর সেই হার তলোয়ার পুলাদ (?) ॥ আদেশ হইল তখন বকসির তরে। জিনিসের ফর্দ আনি দেও সদাগরে ॥ (১) বিদশী = দুর্দশ । (২) দৈব-দোষে আমার চক্ষুর ভ্রম উপস্থিত হইয়াছিল। (৩) ভোগা দেওয়া=ঠকান। তাহাকে ঠকাইলাম অর্থাৎ আমিই এই ব্যাপারে জিতিলাম, মনে এই ধারণা হইল।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।