কৃষ্ণচন্দ্রীয় যুগ—জয়নারায়ণ সেন–জন্ম ১৮শ শতাব্দীর পূর্বাৰ্দ্ধ। ১৫০১ যেখানে প্রসাদ পাও ত্বরিতে তুলিয়া খাও তবে যাবে সব দুঃখ দূরে ॥ স্বপ্নে দেখি শিহরিয়া হৃদয়ে আনন্দ হৈয়া উঠি ধায় আপন-মন্দিরে। পতিত প্রসাদ পাইয়া মহাভক্তি করি লইয়া তুলি দিলা মুখ-সুধাকরে ॥ আনন্দে চলিয়া যায় মঙ্গল দেখিতে পায় শুভ লক্ষণ । বামে ধায় হরিণী হেরিয়া । মৃগ গো দক্ষিণে যায় পুলকে শরীর তায় জয়-রব ভুবন ভরিয়া ॥ বৃষ গজ অশ্ব তৰী দক্ষিণে আবৰ্ত্ত বহ্নি দধি শুক্লধান্ত পুষ্প-মালা। হেরিয়া বিমনা মনঃ সুমনা হইয়া পুনঃ পুলকে পূরিত ভেল বালা ॥ ভূপতি পতাকা আর সন্তোমাংস ঘৃত-ভার বামে সব নীর-পূর্ণ কুম্ভ । তেজঃপুঞ্জ দ্বিজ যত বসি বেদ পাঠে রত রজত-কাঞ্চনময় স্তম্ভ ॥ শুক-সনে শারী পার্থী স্পন্দে ঘন বাম আখি হেরি নারী কাৰ্য্য-সিদ্ধি মানে । কবি রায় লীলা গায় মঙ্গলে মঙ্গল তায় মঙ্গল-রাগেতে ভাল ভণে ॥ দেখি সতী হৃষ্ট মন নারায়ণ স্মরি ঘন নদী-তীরে করিলে গমন । বড়মড় গেল দূরে চন্দ্রভান নৌকা-পরে ভাসি উঠে হাসিল ভুবন ॥ দেখি মাত্র সব লোক দূর করে যত শোক জয় জয় রব করে অতি । লাগিল মুনেত্রী-কাণে জয়-রব হৃষ্ট মনে লড়ে (১) চলে গতি-গজ-পতি ॥ (১) লড়ে = দৌড়িয়া।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।